তামিলনাড়ু সরকার গুগলের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে রাজ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সহযোগিতার সুযোগ খোঁজা হবে। সরকারের তরফ থেকে ‘তামিলনাড়ু এআই ল্যাবস’ স্থাপনের ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ড. টিআরবি রাজা এই খবরটি প্রকাশ করেছেন, যা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের মার্কিন সফরের সময় হয়েছে। গুগল রাজ্যের স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দুই মিলিয়ন যুবককে এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও, রাজ্যে বিভিন্ন প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আরও পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে নোকিয়া এবং পেপালও অন্তর্ভুক্ত।
তামিলনাড়ু সরকার গুগলের সঙ্গে এআই পার্টনারশিপের চুক্তি সাইন করল
তামিলনাড়ু সরকার গুগলের সঙ্গে একটি নতুন সহযোগিতার চুক্তি সাইন করেছে, যেখানে রাজ্য সরকার একটি নতুন ‘তামিলনাড়ু এআই ল্যাবস’ সুবিধা স্থাপন করবে। শনিবার, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান যে, এই চুক্তি গুগলের মাউন্টেন ভিউ অফিসে সাইন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে চেন্নাই, মাদুরাই এবং কোইম্বাতোরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাঁচটি অন্য চুক্তি সাইন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নোকিয়া, পেপ্যাল এবং ইনফিনিক্স।
তামিলনাড়ুর শিল্পমন্ত্রী ডঃ টি আর বি রাজা এক পোস্টে জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার গুগলের সঙ্গে এই চুক্তি সাইন করেছে। গুগল রাজ্যের স্টার্টআপ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) এবং গ্রামীণ পরিবেশের জন্য এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে রাজ্য সরকার ২০ লক্ষ যুবককে এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। গুগল ক্লাউডের এআই প্রযুক্তি এমএসএমইগুলির জন্য একটি ওপেন নেটওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে উপলব্ধ থাকবে। গুগল ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের প্রধান আমিত জাভেরি বলেন, “আমরা একসঙ্গে একটি সফল এআই ইকোসিস্টেম তৈরি করতে প্রত্যাশা করছি, যা উদ্ভাবন এবং সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর মার্কিন সফরের প্রথম দিনে, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ছয়টি MoU সাইন করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র নোকিয়ার জন্য এবং চেন্নাইয়ে পেপ্যালের জন্য এক এআই-এমএল উন্নয়ন কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
1. তামিলনাড়ু এআই ল্যাব কী?
তামিলনাড়ু এআই ল্যাব হলো একটি গবেষণা কেন্দ্র যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ হবে।
2. গুগল কেন অংশীদার হচ্ছে?
গুগল এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা উন্নত প্রযুক্তি এবং জ্ঞানের সুবিধা নিতে চাই।
3. এই ল্যাবের সুবিধা কী হবে?
এই ল্যাব থেকে নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন হবে, যা রাজ্যের উন্নয়নে সাহায্য করবে।
4. ল্যাবে কারা কাজ করবে?
ল্যাবে গবেষক, ছাত্র ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা একসাথে কাজ করবেন।
5. এই প্রকল্পের লক্ষ্য কী?
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সামাজিক সমস্যার সমাধান করা।