মস্তিষ্কের সংকেতের মাধ্যমে প্রস্থেটিক হাতের নিয়ন্ত্রণ: প্রযুক্তির অগ্রগতির একটি নতুন দিগন্ত

News Live

মস্তিষ্কের সংকেতের মাধ্যমে প্রস্থেটিক হাতের নিয়ন্ত্রণ: প্রযুক্তির অগ্রগতির একটি নতুন দিগন্ত

গার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকরা, আন্দ্রেস আগুডেলো-টোরোর নেতৃত্বে, মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছেন। এই গবেষণায়, rhesus বানরদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ প্রোটোকল তৈরি করা হয়েছে যা মস্তিষ্কের সংকেত দ্বারা প্রস্তhetic হাত নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা প্রদান করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাতের বিভিন্ন ভঙ্গির জন্য দায়ী নিউরাল সংকেতগুলোই গুরুত্বপূর্ণ, যা আগে গতির সংকেতের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই গবেষণার ফলাফল ভবিষ্যতের নিউরোপ্রোস্টেসিসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে প্যারাপ্লেজিয়া বা এএলএস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।



জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকরা, যারা আন্দ্রেস আগুদেলো-টোরোর নেতৃত্বে কাজ করেছেন, মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছেন। এই গবেষণাটি রিসাস বানরের উপর চালানো হয় এবং এর ফলে একটি প্রশিক্ষণ প্রোটোকল তৈরি হয়েছে যা মস্তিষ্কের সংকেতের মাধ্যমে প্রস্থেটিক হাতের সঠিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব করে। এই নতুন পদ্ধতিটি হাতের বিভিন্ন পোজের জন্য দায়ী মস্তিষ্কের সংকেতগুলির উপর কেন্দ্রিত, যা প্রস্থেটিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য, পূর্বে অনুমিত গতি সংকেতের পরিবর্তে।

নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব

সবাই সাধারণভাবে যে দক্ষতা নিয়ে কথা বলে, যেমন বাজারের ব্যাগ ওঠানো বা সূঁচ দিয়ে সুতো গাঁথা, তা আমাদের ফাইন মোটর স্কিলের উপর নির্ভর করে। প্যারাপ্লেজিয়া বা অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (এলএস) এর মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চলাফেরায় ব্যাপক সীমাবদ্ধতা দেখা দেয়। তাই গবেষকরা দশক ধরে নিউরোপ্রোস্থেসিস, অর্থাৎ চলাচল পুনরুদ্ধারের জন্য কৃত্রিম অঙ্গে বিনিয়োগ করেছেন।

গবেষণার প্রক্রিয়া

এই গবেষণায় বানরদের প্রথমে একটি ভার্চুয়াল অবতার হাত পর্দায় সরানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যখন তারা এই কাজটি শেখার পরিপূর্ণতা অর্জন করে, তখন তারা মানসিক কল্পনার মাধ্যমে অবতারের নিয়ন্ত্রণে অগ্রসর হয়, যা হাতের আন্দোলনের জন্য দায়ী নিউরনের কার্যকলাপ পরিমাপ করে। গবেষকরা তাদের অ্যালগরিদমটি এমনভাবে অভিযোজিত করেছেন যাতে এটি একটি আন্দোলনের শেষ বিন্দু এবং পৌঁছানোর জন্য গৃহীত ট্রাজেক্টরি উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে, অবতারের গতির সঠিকতা বাড়িয়ে।

গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল

এই গবেষণার ফলাফলগুলি নিউরোপ্রোস্থেসিসের কার্যকরী ব্যবহারের জন্য হাতের পোজ সংকেতগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়, বলে মন্তব্য করেছেন হ্যান্সজর্ড স্কারবার্গার, নিউরোবায়োলজি ল্যাবরেটরির প্রধান এবং গবেষণার সিনিয়র লেখক। এই গবেষণা ভবিষ্যতের মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেসগুলির কার্যকারিতা উন্নত করার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যা অবশেষে প্রস্থেটিক হাতের ফাইন মোটর স্কিল বাড়াতে এবং যারা প্রয়োজন তাদের চলাচল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।

প্রশ্ন ১: নিউরাল ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস কী?

উত্তর: নিউরাল ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস হলো একটি প্রযুক্তি যা মস্তিষ্কের সিগন্যালকে পড়ে এবং সেগুলোকে কম্পিউটার বা যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করে।

প্রশ্ন ২: এটি কিভাবে প্রোথেটিক হাত নিয়ন্ত্রণ করে?

উত্তর: এই প্রযুক্তি মস্তিষ্কের চিন্তা বা সংকেতকে পড়ে এবং সেই অনুযায়ী প্রোথেটিক হাতকে চলতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৩: এই প্রযুক্তির সুবিধা কী?

উত্তর: এর মাধ্যমে মানুষ তাদের চিন্তা দ্বারা প্রোথেটিক হাত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা তাদের জীবনে স্বাভাবিকতা এবং স্বাধীনতা নিয়ে আসে।

প্রশ্ন ৪: এটি কি সবাই ব্যবহার করতে পারবে?

উত্তর: এটি মূলত তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা হাত হারিয়েছেন বা হাতের সমস্যায় ভুগছেন।

প্রশ্ন ৫: এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ কী?

উত্তর: ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে এবং আরো মানুষের জন্য সুবিধাজনক হবে, যাতে তারা সহজে জীবনযাপন করতে পারে।

মন্তব্য করুন