প্রযুক্তির উন্মাদনায়, মানবসভ্যতা কি আবারও প্রাচীন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে?

News Live

প্রযুক্তির উন্মাদনায়, মানবসভ্যতা কি আবারও প্রাচীন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে?

নতুন গবেষণা suggests করে যে একটি শক্তিশালী এল নিনো চক্র, বিশাল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড মুক্তির মাধ্যমে চালিত, প্রায় ২৫০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণবিলুপ্তিতে অবদান রেখেছিল। সাইবেরিয়ার আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড মুক্ত করে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। এই পরিবর্তনগুলি পৃথিবীর ৯০ শতাংশ প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ হয়। সাইবেরিয়ান ট্র্যাপসের বিস্ফোরণগুলি দীর্ঘস্থায়ী এল নিনো ঘটনার সৃষ্টি করেছিল, যা সমুদ্র এবং স্থল উভয় ক্ষেত্রেই জীবনের জন্য মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। যদিও অতীতের এই ঘটনাগুলি বিরল, তবে এগুলোর আধুনিক জলবায়ু সংকটের ওপর গুরুতর প্রভাব থাকতে পারে।



নতুন গবেষণা নির্দেশ করে যে একটি শক্তিশালী এল নিনো চক্র, যা একটি বিশাল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইডের মুক্তির মাধ্যমে চালিত হয়েছিল, সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণবিলুপ্তির জন্য দায়ী ছিল, যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন বছর আগে, পেরমিয়ান যুগের শেষের দিকে ঘটেছিল। সাইবেরিয়ার বর্তমান ভূখণ্ডে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড বাতাসে মুক্তি ঘটায়, যা তীব্র জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। এই পরিবর্তনগুলো পৃথিবীর ৯০ শতাংশ প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও অতীতের এই ধরনের ঘটনা বিরল, তবে এগুলোর বর্তমানের জলবায়ু সঙ্কটের উপর গুরুতর প্রভাব রয়েছে।

সাইবেরিয়ান আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের প্রভাব

সাইবেরিয়ান ট্র্যাপসের বিস্ফোরণ, যা একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির রিফটের সমাহার, বাতাসে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার ফলে চরম জলবায়ু উত্তাপ সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র এল নিনো ইভেন্টের দিকে নিয়ে যায়। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টলের প্যালিওক্লাইমেট মডেলার অ্যালেক্স ফার্নসওর্থ বলেছেন, এই সময়ে তাপমাত্রা এমন একটি স্তরে পৌঁছেছিল যা জীবনের জন্য উপযুক্ত ছিল না, যার ফলে প্রজাতিগুলো তাদের সীমানার বাইরে চলে গিয়েছিল।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মহাসাগর এবং স্থল কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিল

গবেষণার প্রধান লেখক ইয়াডং সান, চায়না ইউনিভার্সিটি অব জিওস্কায়েন্সেসের একজন পৃথিবী বিজ্ঞানী, আবিষ্কার করেছেন যে প্যানথালাসার পশ্চিম এবং পূর্ব অংশের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য উষ্ণায়নের সময় দুর্বল হয়ে পড়েছিল। মহাসাগরটি বেশিরভাগ সামুদ্রিক জীবনধারণের জন্য খুব উষ্ণ হয়ে গিয়েছিল, বিশেষ করে যখন উষ্ণ জল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। স্থলে, গাছপালার ওপর নির্ভরশীল প্রাণীরা বেঁচে থাকতে সংগ্রাম করেছিল, কারণ তীব্র তাপ এবং উদ্ভিদের অভাব একটি প্রতিক্রিয়া চক্র সৃষ্টি করেছিল যা বেঁচে থাকার অবস্থাকে আরো খারাপ করে দিয়েছিল।

আধুনিক প্রভাব

যদিও পেরমিয়ান যুগের সময় কার্বন ডাইঅক্সাইডের স্তর আজকের ৪১৯ পিপিএমের তুলনায় অনেক বেশি ছিল, তবে মানুষগুলো যে দ্রুত গতিতে বাতাসে কার্বন যুক্ত করছে, তা সম্ভাব্যভাবে একইভাবে অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলতে পারে।

এল নিনো কি?

এল নিনো হলো একটি আবহাওয়াগত ঘটনা, যা সমুদ্রের তাপমাত্রা পরিবর্তন করে এবং বিশ্বজুড়ে জলবায়ুতে প্রভাব ফেলে।

এল নিনোর প্রভাব কেমন?

এল নিনোর ফলে কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়ে, আবার কিছু জায়গায় খরা হয়। এটি কৃষি, মৎস্যচাষ এবং আবহাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২৫০ মিলিয়ন বছর আগে কী ঘটেছিল?

২৫০ মিলিয়ন বছর আগে বিশাল আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটেছিল, যা পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের প্রায় ৯০% এর বেশি ধ্বংস করে দেয়।

এই ভৌগলিক পরিবর্তনের সাথে এল নিনোর সম্পর্ক কী?

এল নিনো এবং আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ উভয়ই জলবায়ু পরিবর্তন করে এবং দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

এটি আমাদের বর্তমান জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে?

এল নিনো এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ আমাদের পরিবেশ, কৃষি এবং জলবায়ু পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, যা আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে।

মন্তব্য করুন