প্রযুক্তির চমক: অনলাইনে একচেটিয়া ব্যবসা, গ্রাহকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ!

News Live

প্রযুক্তির চমক: অনলাইনে একচেটিয়া ব্যবসা, গ্রাহকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ!

ভারতে স্মার্টফোন কোম্পানি স্যামসাং, শাওমি এবং অন্যান্যরা আমাজন ও ফ্লিপকার্টের সাথে মিলে বিশেষভাবে পণ্য লঞ্চ করার অভিযোগে অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগে পড়েছে। ভারতীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের (CCI) রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলো কিছু বিক্রেতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে, তালিকা প্রাধান্য দিয়ে এবং পণ্যের মূল্য কমিয়ে প্রতিযোগিতা নষ্ট করেছে। স্যামসাং, শাওমি, মটোরোলা, রিয়েলমি, ভিভো এবং লেনোভোসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। CCI রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ধরনের একচেটিয়া ব্যবসা ভোক্তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। তদন্তের ফলে আমাজন ও ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে জরিমানা ও ব্যবসায় পদ্ধতিতে পরিবর্তনের নির্দেশনা আসতে পারে।



স্মার্টফোন কোম্পানি ও ই-কমার্সে অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন

সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যামসাং, জিয়াওমি এবং অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানি আমাজন এবং ফ্লিপকার্ট-এর সাথে মিলিত হয়ে তাদের ভারতীয় ওয়েবসাইটে একচেটিয়া পণ্য লঞ্চ করেছে, যা অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন করে।

ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন (CCI) দ্বারা পরিচালিত তদন্তে দেখা গেছে যে আমাজন এবং ফ্লিপকার্ট স্থানীয় প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করেছে। এরা বিশেষ কিছু বিক্রেতাদের প্রতি অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং পণ্যের মূল্য হ্রাস করেছে, যা অন্যান্য কোম্পানির ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

CCI-এর ১,০২৭ পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে স্যামসাং, জিয়াওমি, মোটোরোলা, রিয়েলমি এবং ওয়ানপ্লাস সহ পাঁচটি কোম্পানির ভারতীয় শাখা একচেটিয়া ফোন লঞ্চে জড়িত ছিল, যা প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে।

ফ্লিপকার্টের ১,৬৯৬ পৃষ্ঠার রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে স্যামসাং, জিয়াওমি, মোটোরোলা, ভিভো, লেনোভো এবং রিয়েলমি একই ধরনের কার্যকলাপ করেছে।

এই অভিযোগের ফলে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোর আইনগত এবং সম্মতির চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। CCI-এর অতিরিক্ত পরিচালক জি.ভি. শিবা প্রসাদ বলেছেন, “একচেটিয়া ব্যবসা মুক্ত এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে।”

আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে এই তদন্তের ফলে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, যেখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে ছোট খুচরো বিক্রেতাদের রোষের শিকার হয়েছে।

অনলাইন বিক্রির বৃদ্ধি

অংশগ্রহণকারী স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে ২০২৪ সালের তিনটি অর্থবছরের জন্য তাদের আর্থিক বিবৃতি CCI-তে জমা দিতে বলা হয়েছে। ২০২০ সালে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল। CCI আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্টের বিরুদ্ধে যে কোনো আপত্তি পর্যালোচনা করবে।

ভারতের ই-রিটেইল বাজার ২০২৮ সালের মধ্যে ১৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে, যা ২০২৩ সালে ৫৭-৬০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল।

CCI কেন স্যামসাং এবং শাওমির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে?

CCI অভিযোগ করেছে যে স্যামসাং এবং শাওমি অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের সাথে একত্রিত হয়ে বাজারে প্রতিযোগিতা নষ্ট করছে।

এই অভিযোগের ফলে কি হবে?

এই অভিযোগের ফলে স্যামসাং এবং শাওমির কার্যক্রমের উপর তদন্ত হতে পারে এবং যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো কি বলছে?

স্যামসাং এবং শাওমি অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তারা বলেছে যে তারা সব সময় আইন মেনে চলে।

বাজারে এর প্রভাব কি হতে পারে?

যদি এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে এটি অন্যান্য অনলাইন রিটেইল প্ল্যাটফর্মের জন্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারে।

ক্রেতাদের জন্য এর মানে কি?

ক্রেতাদের জন্য এটি ভালো খবর হতে পারে কারণ এতে পণ্যের দাম কমতে পারে এবং বাছাইয়ের সুযোগ বাড়বে।

মন্তব্য করুন