সম্প্রতি, অ্যাপলের উৎপাদন কৌশল ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে, কারণ তারা চীনের বাইরে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। যদিও অ্যাপল এখনও চীনের উপর নির্ভরশীল, মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা ভারতের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করেছে। একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা আমদানির উপর শুল্ক বাড়ায়, তবে অ্যাপল ভারতে তাদের আইফোন উৎপাদন দ্বিগুণ করতে পারে, যা ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। এই পরিবর্তন ভারতের বৈশ্বিক আইফোন উৎপাদনে ২৬ শতাংশেরও বেশি ভাগীদারি নিশ্চিত করতে পারে এবং ২,০০,০০০ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। অ্যাপল ইতোমধ্যে ভারতে তাদের সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে এবং আইফোন ১৭-এর প্রাথমিক উৎপাদন শুরু করেছে।
সম্প্রতি, অ্যাপলের উৎপাদন কৌশল ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে, কারণ তারা চীন ছাড়াও উৎপাদন কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। যদিও অ্যাপল এখনও চীনের উপর নির্ভরশীল, তবে মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার মতো বিভিন্ন কারণে ভারতে উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করেছে। একটি নতুন প্রতিবেদনে জানা গেছে, যদি মার্কিন সরকার চীনা আমদানি উপর শুল্ক প্রয়োগ করে, তবে অ্যাপল ভারতে তাদের আইফোন উৎপাদন দ্বিগুণ করতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানিটি নতুন প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আইফোন উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক বৃদ্ধি ভারতের জন্য লাভজনক
ইকোনমিক টাইমস রিপোর্ট করে যে, নতুন প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি চীনা আমদানি উপর ভারী শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেন, তবে অ্যাপল আগামী দুই বছরে ভারতে আইফোন উৎপাদন দ্বিগুণ করে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি করতে পারে। বর্তমানে অ্যাপল ভারতে প্রায় ১৫-১৬ বিলিয়ন ডলারের ডিভাইস উৎপাদন করে।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে চীনের পণ্যের উপর ৬০-১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এটি অ্যাপলকে ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে পরিচালিত করতে পারে। তার প্রথম মেয়াদে, ট্রাম্প চীনা আমদানির উপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন এবং বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে ট্রাম্পের ফিরতি আসা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও প্রভাবিত করতে পারে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ভারত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে, তবে ইলেকট্রনিক্স খাত, বিশেষ করে আইফোন উৎপাদন এই পদক্ষেপ থেকে লাভবান হবে।
যদি অ্যাপল ভারতে আইফোন উৎপাদন বাড়ায়, তবে আগামী কয়েক বছরে ভারতের বৈশ্বিক আইফোন উৎপাদনে অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে, যা বর্তমানে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। এই নতুন উৎপাদন ২,০০,০০০ চাকরি সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতিবেদনে প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীল শাহ বলেছেন, ভারতে আইফোন উৎপাদনের মোট মূল্য আগামী কয়েক বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। আইফোন উৎপাদনের স্থানান্তরটি নির্ভর করবে ভারতীয় সরকারের উপর, যাদেরকে খরচের অকার্যকারিতা এবং নীতি অনিশ্চয়তা সমাধানে গভীর সংস্কার করতে হবে যাতে অতিরিক্ত উৎপাদন চীন থেকে অন্য দেশে যেমন ভিয়েতনামে চলে না যায়।
গত কয়েক বছরে, অ্যাপল ভারতে তাদের সরবরাহকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে, ফক্সকন, পেগাট্রন এবং উইস্ট্রনের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং চুক্তি নির্মাতাদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়েছে। অ্যাপল রিপোর্ট করেছে যে তারা ভারতে একটি অজ্ঞাত কারখানায় আইফোন ১৭ এর প্রাথমিক উৎপাদন কাজ করছে।
iPhone উৎপাদন কেন ভারতীয় বাজারে দ্বিগুণ হতে পারে?
iPhone উৎপাদন দ্বিগুণ হতে পারে কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ট্যারিফ প্রস্তাবের কারণে কোম্পানিগুলো ভারতকে একটি বিকল্প হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
ট্যারিফ প্রস্তাবের প্রভাব কি হবে?
ট্যারিফ বৃদ্ধির ফলে আমেরিকান কোম্পানিগুলো ভারতীয় উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যাতে তারা উচ্চ শুল্ক এড়াতে পারে।
ভারতের iPhone উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কি সুবিধা আছে?
ভারতে উৎপাদন বাড়ালে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
ভারতে iPhone উৎপাদনের জন্য কি বিনিয়োগ হবে?
বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি ভারতীয় উৎপাদন সুবিধায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ভারতে iPhone উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কি চ্যালেঞ্জ আছে?
হ্যাঁ, জটিল সরবরাহ চেইন এবং স্থানীয় নিয়মাবলীর কারণে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে।