প্রথম নিউক্লিয়ার ঘড়ি তৈরির মাধ্যমে পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটেছে। থোরিয়াম-২২৯ নিউক্লিয়াসের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই ঘড়িটি এতটাই সঠিক যে এটি পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক ধ্রুবকগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। জুন ইয়ের নেতৃত্বে জিলা, বোল্ডার, কোলোরাডোর একটি গবেষণা দলের সদস্যরা এই সাফল্য অর্জন করেছেন।
আবিষ্কার
মে ২০২৪-এ গ্র্যাজুয়েট ছাত্র চুয়ানকুন ঝাং থোরিয়াম-২২৯ নিউক্লিয়াস থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত আবিষ্কার করেন।
নিউক্লিয়ার ঘড়ির গুরুত্ব
থোরিয়াম-২২৯ নিউক্লিয়াসের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি মৌলিক ধ্রুবকগুলির পরিবর্তনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
ভবিষ্যতের প্রভাব
এই আবিষ্কার মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ঘটেছে পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানে, যখন প্রথম পারমাণবিক ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই ঘড়িটি থোরিয়াম-২২৯ পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এবং এটি এমন একটি সঠিকতা অর্জন করেছে যা সময়ের সাথে সাথে মৌলিক ধ্রুবকগুলির পরিবর্তন পরীক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। এই অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছেন জুন ইয়ের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল, যিনি জিলা, বোল্ডার, কোলোরাডোতে একজন বিশিষ্ট পদার্থবিদ।
আবিষ্কার
মে ২০২৪ এর একটি উল্লেখযোগ্য রাতে, জিলার গ্র্যাজুয়েট ছাত্র চুয়ানকুন ঝাং থোরিয়াম-২২৯ পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে একটি দীর্ঘ-অনুসন্ধানী সংকেত শনাক্ত করেন, যা পারমাণবিক ঘড়ির সন্ধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই সংকেতটি দেখায় যে কেন্দ্রটি দুটি অবস্থার মধ্যে পরিবর্তন করছে, যা ঝাং এবং তার ল্যাবের বন্ধুদের জন্য আনন্দের মুহূর্ত ছিল। জুন ইয়েও এই ফলাফল দেখে আবেগে আপ্লুত হন।
পারমাণবিক ঘড়ির গুরুত্ব
থোরিয়াম-২২৯ পারমাণবিক কেন্দ্রের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে মৌলিক প্রকৃতির ধ্রুবকগুলির পরিবর্তনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল করে তোলে। এই ধ্রুবকগুলি, যেমন আলোর গতি এবং মাধ্যাকর্ষণ ধ্রুবক, আমাদের মহাবিশ্বের বোঝাপড়ার জন্য মৌলিক। থোরিয়াম-২২৯ পরিবর্তনের সঠিক পরিমাপ, যা পূর্বের প্রচেষ্টার তুলনায় এক মিলিয়ন গুণ বেশি সঠিক, এটি প্রকাশ করতে পারে যে এই ধ্রুবকগুলি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় কিনা।
বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গ
থোরিয়াম-২২৯ পারমাণবিক ঘড়ির আবিষ্কারটি পূর্ববর্তী গবেষণার মধ্যে নিহিত। ১৯৭০-এর দশকে, বিজ্ঞানীরা থোরিয়াম-২২৯ এর অস্বাভাবিক নিউক্লিয়ার অবস্থার সন্ধান পান, যা অন্যান্য নিউক্লিয়ার তুলনায় উত্তেজিত করতে কম শক্তি প্রয়োজন। এই বৈশিষ্ট্যটি এটিকে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘড়ির জন্য একটি প্রধান প্রার্থী করে তোলে যা মৌলিক ধ্রুবকগুলির স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করতে পারে।
ভবিষ্যতের প্রভাব
এই অগ্রগতি মৌলিক পদার্থবিজ্ঞান অনুসন্ধানের নতুন পথ উন্মুক্ত করে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক হাডসন এবং ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যানাহ উইলিয়ামসের মতো গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে থোরিয়াম-২২৯ পারমাণবিক ঘড়ির সঠিকতা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীদের জন্য পূর্বে অদৃশ্য পদার্থবিজ্ঞানের আইনগুলির সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলি সনাক্ত করতে সহায়ক হতে পারে।
থোরিয়াম-229 নিউক্লিয়ার ঘড়ি কি?
থোরিয়াম-229 নিউক্লিয়ার ঘড়ি হলো একটি অত্যাধুনিক সময় পরিমাপের যন্ত্র যা নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের ভিত্তিতে কাজ করে।
এটি কিভাবে কাজ করে?
এটি থোরিয়াম-229 নিউক্লিয়াসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে সময়ের খুব সূক্ষ্ম পরিবর্তন মাপতে সক্ষম।
এই ঘড়ির গুরুত্ব কি?
এটি মৌলিক ধ্রুবকগুলোর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে, যা আমাদের বিশ্ব সম্পর্কে নতুন তথ্য দিতে পারে।
এটি কিভাবে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে?
বিজ্ঞানীরা এই ঘড়ির মাধ্যমে মহাবিশ্বের গঠন এবং মৌলিক শক্তির পরিবর্তনের ব্যাপারে নতুন ধারণা পেতে পারেন।
এটি কি ভবিষ্যতে প্রযুক্তিতে পরিবর্তন আনবে?
হ্যাঁ, এই ঘড়ি সময় পরিমাপের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি এবং গবেষণার পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।