নবান্ন অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা, সুরক্ষায় নতুন নির্দেশনা

News Live

নবান্ন অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা, সুরক্ষায় নতুন নির্দেশনা

কলকাতায় আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে ঘটেছে অশান্তি। আন্দোলনকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশ সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী, যার চোখের রেটিনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য লালবাজার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে গাড়ির সামনে, পিছনে এবং জানলায় শক্ত জাল লাগানো হয়। এই নির্দেশনা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। নবান্ন অভিযানে ৩৬ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। লালবাজারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুলিশ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।



কলকাতায় নবান্ন অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

কলকাতায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ-মিছিল চলছে। মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী গুরুতর আহত হন। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে চোখে লাগে, যার ফলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন এবং চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।

লালবাজার থেকে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবান্ন অভিযানের পর থেকে পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশের গাড়ির সামনে, পিছনে এবং জানলায় শক্ত জাল লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ কার্যকর করতে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব থানাকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের হাতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের আশাবাদ, এই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে গাড়িতে থাকা পুলিশ কর্মীরা জখম এড়াতে পারবেন। উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানে ৩৬ জন পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর।

কলকাতার বন্দর এলাকায় প্রায়ই হিংসার ঘটনা ঘটে, তাই ওই এলাকার ওসির গাড়িতেও লোহার জাল লাগানো হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো পুলিশী নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

নবান্ন অভিযান কি?

নবান্ন অভিযান একটি বিশেষ পুলিশ অভিযান, যাতে মানুষের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা হয়।

পুলিশের সব গাড়িতে জাল লাগানোর নির্দেশ কেন?

জাল লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পুলিশ গাড়িগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো যায় এবং অন্যরা সহজে চিনতে পারে।

এই জাল কিভাবে সাহায্য করবে?

জাল লাগানোর মাধ্যমে পুলিশ গাড়িগুলো চিহ্নিত হবে, যা অপরাধীদের জন্য একটি বাধা সৃষ্টি করবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস বাড়াবে।

নবান্ন অভিযানে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়?

নবান্ন অভিযানে বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যেমন সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরদারি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সুরক্ষা দেওয়া।

আমি কি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি যদি কিছু সন্দেহজনক দেখিতে পাই?

হ্যাঁ, আপনি পুলিশকে অবিলম্বে ফোন করে বা স্থানীয় থানায় জানিয়ে সাহায্য চাইতে পারেন।

মন্তব্য করুন