জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝে কলকাতায় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে। এক যুবতী অভিযোগ করেছেন, ওই চিকিৎসক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তার বাড়িতে থাকার জন্য বলেন এবং তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতী বার বার বিয়ের কথা বললেও অভিযুক্ত চিকিৎসক নানা অছিলায় তা এড়িয়ে যান। জুন মাসে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর যুবতী গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তের পর শনিবার অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসক ও যুবতীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কলকাতায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে কলকাতার একটি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে আজ গড়িয়াহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
যুবতী অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ওই চিকিৎসকের চেম্বারে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্ত চিকিৎসক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস শুরু করে। কিন্তু যখনই যুবতী বিয়ের কথা বলতেন, তখনই চিকিৎসক নানা অছিলায় বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন।
যুবতীর অভিযোগ, চিকিৎসক তাকে জুন মাসে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর ২৯ জুলাই তিনি গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শনিবার অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে।
প্রশ্ন ১: চিকিৎসক কেন গ্রেফতার হলেন?
উত্তর: চিকিৎসককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার বছর সহবাসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২: অভিযোগ দায়ের করার কারণ কী?
উত্তর: অভিযোগকারী বলেছেন যে চিকিৎসক বিয়ের কথা বলে তাকে চার বছর ধরে প্রতারণা করেছেন।
প্রশ্ন ৩: এই ধরনের অভিযোগের জন্য কি আইন আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, এই ধরনের প্রতারণার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে আইন রয়েছে এবং এটি একটি গুরুতর অপরাধ।
প্রশ্ন ৪: গ্রেফতার হওয়ার পর চিকিৎসকের কী হবে?
উত্তর: গ্রেফতার হওয়ার পর চিকিৎসককে আদালতে হাজির করা হবে এবং সেখানে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।
প্রশ্ন ৫: এ ধরনের ঘটনা থেকে কী শিক্ষা নেওয়া উচিত?
উত্তর: এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা হচ্ছে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস এবং সততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।