মধুমিতা সরকারের সাহসী রাতযাত্রা: নারী নিরাপত্তা প্রশ্নে নতুন আলোচনার জন্ম

News Live

মধুমিতা সরকারের সাহসী রাতযাত্রা: নারী নিরাপত্তা প্রশ্নে নতুন আলোচনার জন্ম

মহিলাদের নিরাপত্তার প্রশ্নে সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। আরজি কর কাণ্ডের পর, তিনি মধ্যরাতে একা ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে তিনি বলেন, “এখন রাত দুটো, আমি নির্জন জায়গায় একা ঘুরছি এবং কেউ আমার দিকে তাকাচ্ছে না।” তিনি আরও জানান, অনেক মহিলাকে রাতের বেলায় কাজ করতে হয়, তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। মধুমিতা দুর্গা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন যেন সব মেয়েরা নিরাপদ বোধ করে। তার এই পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের বিভিন্ন মন্তব্য এসেছে, তবে অভিনেত্রীর সাহসী উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে।



আরজি কর কাণ্ডের পর এখন চারিদিকে একটাই প্রশ্ন মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? সেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের ডাক উঠেছে সর্বত্র। এই প্রেক্ষাপটে দুঃসাহসিক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। একাকী মধ্যরাতে কোথায় ঘুরে বেড়ালেন তিনি? আসুন জানি, কী বললেন নারী নিরাপত্তা নিয়ে।

মধুমিতা সরকারের বক্তব্য

মধুমিতা সরকার সম্প্রতি বৈদ্যনাথ ধামে গিয়ে কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সাদা চুড়িদার পরে একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে পুজো দিচ্ছেন। এরপর তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘এখন রাত দুটো। আর এই সময় আমি নির্জন জায়গায় একা ঘুরে বেরাচ্ছি। আমার দিকে কিন্তু কেউ ঘুরেও দেখছে না। এটাই তো চাই আমারা মেয়েরা। মানে লোকজন আছে রাস্তায়, তাঁদের উপর কোনও আক্রমণ হচ্ছে না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই শারদীয়ায় আমি দুর্গা মায়ের কাছে এটুকুই চাই যেন ভারতের প্রতিটা মেয়ে এমনই নিরাপদ বোধ করে।’

প্রতিক্রিয়া

মধুমিতার এই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিডিয়ো করছেন তাই কেউ কাছে যাওয়ার সাহস করছে না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনি দেওঘরে আছেন। শিব এবং শক্তি যেখানে একসঙ্গে বিরাজ করে সেখানে সবাই নিরাপদ।’

মধুমিতা সরকার ১৪ অগস্ট রাতে হওয়া রাত দখল কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে। তিনি আন্দোলনে তাঁর সহনাগরিকদের সঙ্গে পথে নেমেছিলেন।

মধুমিতা সারকার কে?

মধুমিতা সারকার হলেন একজন জনপ্রিয় বাংলা টেলিভিশন অভিনেত্রী।

এই শারদীয়ায় তিনি কী চাইলেন?

মধুমিতা দেবী দুর্গার কাছে শান্তি এবং সুখের প্রার্থনা করেছেন।

রাত দুটোয় একা শহর ঘুরে বেড়ানো কেন?

তিনি নিজের আত্মার পরিচয় এবং জীবনকে নতুন করে উপলব্ধি করতে চান।

দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনার বিশেষত্ব কী?

দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করলে মানুষের মন শান্ত হয় এবং আশা বাড়ে।

মধুমিতার অনুপ্রেরণা কী?

তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে সমাজে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা পান।

মন্তব্য করুন