হাইকোর্টের রায়ে সায়নের মুক্তি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখে কালো দাগ!

News Live

হাইকোর্টের রায়ে সায়নের মুক্তি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখে কালো দাগ!

কলকাতা হাইকোর্ট সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছেন, সায়নকে শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা যাবে না। সায়ন, যিনি ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র আহ্বায়ক, গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের পর পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার হন। সরকারি পক্ষ দাবি করে যে ওই অভিযানে পুলিশের অনুমতি ছিল না এবং সায়ন উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন, কিন্তু হাইকোর্ট এই দাবির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি। বিচারপতি সিনহা রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধেও একই অবস্থানে প্রশ্ন তুলেছেন।



কলকাতা হাইকোর্টে সায়ন লাহিড়ির গ্রেফতারি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ পুড়ল। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন সায়নকে মুক্তি দিতে। হাইকোর্ট জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ২ টার মধ্যে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সায়নের বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করতে হবে।

সায়নকে গ্রেফতারি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সায়ন এই আন্দোলনের আহ্বায়ক ছিলেন। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।

শুক্রবারের শুনানিতে হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। রাজ্য সরকার দাবি করে যে নবান্ন অভিযানের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল না এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন হয়নি। তারা আরও দাবি করে যে সায়ন উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন।

সায়ন কি প্রভাবশালী নাকি, প্রশ্ন হাইকোর্টের

হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, সায়ন কি প্রভাবশালী? রাজ্য সরকার এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি যা নিশ্চিত করে যে সায়ন নবান্ন অভিযানের অশান্তির ঘটনায় জড়িত ছিলেন। বিচারপতি সিনহা বলেন, রাজনৈতিক নেতারাও প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হয় না? এই পরিস্থিতিতে তিনি রায়দান স্থগিত রাখেন এবং পরে সায়নের মুক্তির নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টে ফের সন্দীপের নাম!

সায়নের গ্রেফতারির মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম ওঠে। বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার জন্য সন্দীপ দায় এড়াতে পারেন না। কিন্তু তাঁকে ধরে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, তা নিয়ে পুলিশকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।

আরও পড়ুন: মমতা: ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভায় বিল পাশ করাবো

ছাত্র সমাজ সায়নের গ্রেফতারিতে কেন আদালতের ধাক্কা হলো?

ছাত্র সমাজ সায়নের গ্রেফতারির বিষয়ে আদালত কিছু প্রশ্ন তুলেছে, যা সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে।

সন্দীপকে ধরেননি কেন?

সন্দীপের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ কোনো স্পষ্ট তথ্য দেয়নি, যা সবাইকে অবাক করেছে।

এই ঘটনার প্রভাব কি হবে?

এই ঘটনার ফলে ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সরকার এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

ছাত্র সমাজের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?

ছাত্র সমাজ এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারে এবং তাদের দাবি জানাতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে।

মন্তব্য করুন