বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে এবং শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গুলশনের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার স্মারক ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় বিদেশিদের হত্যার পর স্মারক তৈরি হয়। কিন্তু সম্প্রতি সেই স্মারক ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের পোস্টার সাঁটা হয়েছে। এই ঘটনায় নতুন করে জঙ্গিবাদের উত্থানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কে বা কারা এই কাজ করেছে এবং এর পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে? বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থান কি সত্যিই ঘটছে?
বাংলাদেশে গুলশন হামলার স্মারক ভাঙার ঘটনা: উদ্বেগের নতুন সংকেত
বাংলাদেশে এখন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এরই মধ্যে গুলশনে ২০১৬ সালের ভয়াবহ হামলার স্মারক ভেঙে ফেলা হয়েছে। একইসাথে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের তিনটি পোস্টারও দেখা গেছে। এই ঘটনার ফলে আবারও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে যাওয়া হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই হামলার পর সেখানে একটি স্মারক তৈরি করা হয়েছিল, যা এখন ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই স্মারক থেকে ফলক উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং সেখানে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে পোস্টারে।
গুলশনে জঙ্গিদের হামলার পর ২০১৮ সালে সেখানে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল, যার নাম রাখা হয় দীপ্ত শপথ। কিন্তু সেই ভাস্কর্যও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এখন কি বাংলাদেশে নতুন করে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে? হিজবুত তাহরিরের পোস্টারগুলির উপস্থিতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা জসিমুদ্দিন রহমানির মুক্তির ঘটনাও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন স্মারক ভাঙার ঘটনা নতুন নয়, তবে গুলশনের হামলার স্মারককে ভাঙার ঘটনাটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। এর পেছনে আসলে কী যুক্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
গুলশন হামলা কি?
গুলশন হামলা ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশন এলাকায় ঘটে, যেখানে জঙ্গিরা একটি ক্যাফেতে হামলা চালায় এবং অনেক মানুষ নিহত হয়।
নতুন বাংলাদেশে জঙ্গি পোস্টার কেন দেখা যাচ্ছে?
নতুন বাংলাদেশে জঙ্গি পোস্টার দেখা যাওয়ার কারণ হলো কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী আবার সক্রিয় হচ্ছে এবং তারা নিজেদের মতবাদ প্রচার করতে চাইছে।
সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে?
সরকার জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা তৈরি করা।
জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ কি করতে পারে?
সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে, সন্দেহজনক কার্যকলাপ রিপোর্ট করতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
গুলশন হামলার স্মারক ভাঙার গুরুত্ব কি?
গুলশন হামলার স্মারক ভাঙা একটি প্রতীকী পদক্ষেপ, যা সমাজকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করা জরুরি।