রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাল পরিস্থিতি
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির ধরনা কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চলছে। আদালত বলেছে, “নির্দিষ্ট দলের জন্য আলাদা নিয়ম কেন?” রাজ্য সরকারের আপত্তির মুখে বিজেপির কর্মসূচিকে অনুমতি দিতে সিঙ্গল বেঞ্চ আদেশ দেয়, কিন্তু রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে। প্রধান বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেছেন, “জনসাধারণের সমস্যার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।” রাজ্যকে সতর্ক করে আদালত বলেছে, “মানুষের ক্ষতে প্রলেপ লাগান, নতুন আঘাত দেবেন না।”

News Live

রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাল পরিস্থিতি


আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির ধরনা কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চলছে। আদালত বলেছে, “নির্দিষ্ট দলের জন্য আলাদা নিয়ম কেন?” রাজ্য সরকারের আপত্তির মুখে বিজেপির কর্মসূচিকে অনুমতি দিতে সিঙ্গল বেঞ্চ আদেশ দেয়, কিন্তু রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে। প্রধান বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেছেন, “জনসাধারণের সমস্যার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।” রাজ্যকে সতর্ক করে আদালত বলেছে, “মানুষের ক্ষতে প্রলেপ লাগান, নতুন আঘাত দেবেন না।”

মানুষের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে

নতুন করে আঘাত দেবেন না, BJPর কর্মসূচির বিরোধিতার কেসে রাজ্যের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের কঠোর মন্তব্য। মানুষের মধ্যে তৈরী হওয়া ক্ষত আরও গভীর না করার আহ্বান জানিয়ে আদালত রাজ্য সরকারকে সতর্ক করেছে। রাজনীতির এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং শান্তি বজায় রাখার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।



রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাল পরিস্থিতি: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব

আরজি কর কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগের পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি ধর্মতলায় ধরনা অবস্থানের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের কাছে এই কর্মসূচির বিরোধিতা করলে, বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে। এরপর রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

কোলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ রাজ্যকে কঠোর ভর্ৎসনা করে বলেন, “সবাই কর্মসূচি করছে, নির্দিষ্ট একটি দলের জন্য আলাদা নিয়ম হবে কেন?” বুধবার শহরে চারটি বড় কর্মসূচি হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে রাজ্যের আপত্তি ছিল না।

এদিকে, বিজেপি নবান্ন অভিযান ঘিরে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেয়। সেই একই দিনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অংশ নেন। হাইকোর্ট জানায়, বিজেপিকে ডরিনা ক্রসিং বা ওয়াই চ্যানেলে আট দিন ধরে ধরনা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার দাবি করে, দীর্ঘ সময় ধরে কর্মসূচি চললে সাধারণ মানুষের সমস্যায় পড়তে হবে।

হাইকোর্ট রাজ্যকে বলেন, “আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।” সরকারের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের অসন্তোষ স্পষ্ট, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে। আদালত বলেছে, “একটি ঘটনায় মানুষের গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে, সেটির প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করুন, নতুন করে আঘাত দেবেন না।”

এভাবে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়ছে, এবং ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।

প্রশ্ন ১: রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট কেন ভর্ৎসনা করেছে?

উত্তর: রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করেছে কারণ মানুষের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে এবং নতুন করে আঘাত না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২: বিজেপির কর্মসূচির বিরোধিতার কারণ কী?

উত্তর: বিজেপির কর্মসূচির বিরোধিতা হচ্ছে জনগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি এবং শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার কারণে।

প্রশ্ন ৩: হাইকোর্টের এই মন্তব্যের প্রভাব কী হতে পারে?

উত্তর: হাইকোর্টের মন্তব্যের ফলে রাজ্য সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশ্ন ৪: মানুষের মনে ক্ষত তৈরি হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত ও সাম্প্রদায়িকতা মানুষের মনে ক্ষত তৈরি করেছে।

প্রশ্ন ৫: রাজ্য সরকারকে কী ব্যবস্থা নিতে হবে?

উত্তর: রাজ্য সরকারকে সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

মন্তব্য করুন