নৌবাহিনী ‘বড় তাড়ায়’ শিবাজী মূর্তি সম্পন্ন করতে চেয়েছিল, জানালেন PWD কর্মকর্তা
মুম্বাইয়ের শিবাজী মূর্তি নির্মাণের সময় নৌবাহিনী তাড়াহুড়ো করছিল, এমনটাই জানিয়েছেন PWD-এর একজন কর্মকর্তা। এই প্রকল্পটির গুরুত্ব এবং দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। মূর্তিটি শহরের ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মুম্বাইয়ে শিবাজী মহারাজের মূর্তির নির্মাণে তাড়াহুড়ো, তদন্ত শুরু
মুম্বাই: পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) কর্মকর্তারা বলেছেন যে মারাঠা রাজা শিবাজী মহারাজের মূর্তির নির্মাণের চুক্তি নৌবাহিনীর দ্বারা শিল্পী জয়দীপ আপ্তেকে দেওয়া হয়েছিল। নৌবাহিনী ডিসেম্বর ৪ তারিখের ভারতীয় নৌবাহিনীর দিবসের অনুষ্ঠানের আগে মূর্তিটি সম্পন্ন করতে তাড়াহুড়ো করছিল। PWDের এক কর্মকর্তা বলেন, “শিল্পী এবং কাঠামোগত পরামর্শদাতা ২০০ বছরের জীবনকাল নিশ্চিত করেছিলেন।”
নৌবাহিনী এবং রাজ্যের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের মধ্যে এই নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। PWD নির্বাহী প্রকৌশলী অজয়কুমার সারভাগোদ বলেছেন, “মূর্তিটি বিভিন্ন অংশে তৈরি করা হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল। শেষ আট দিনে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা নির্মাণের কাজ নিয়ন্ত্রণ করেছেন।”
এদিকে, পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করেছে এবং নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা সিন্ধুদুর্গে তদন্তের জন্য উপস্থিত হয়েছেন। সিন্ধুদুর্গ জেলার পুলিশ প্রধান সওরভ আগ্রাওয়াল জানিয়েছেন, শিল্পী এবং নির্মাণ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা এবং অবহেলার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিব সেনা (UBT) এমপি সঞ্জয় রাউত অভিযোগ করেছেন যে এই নির্মাণের পেছনে দুর্নীতির গন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, “শিবাজী মহারাজের মূর্তিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।”
জয়দীপ আপ্তে, যিনি ৩৯ বছর বয়সী, বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করেছেন এবং তার মধ্যে রয়েছে সিক্কিম সৈনিকদের দুটি মূর্তি।
এখন দেখা যাক, এই ঘটনার তদন্ত কী ফলাফল নিয়ে আসে এবং শিবাজী মহারাজের মূর্তির ভবিষ্যৎ কী হয়।
শিবাজির মূর্তি তৈরিতে কেন তাড়াহুড়ো ছিল?
জাহাজবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, শিবাজির মূর্তি দ্রুত তৈরি করতে হবে কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
এই মূর্তিটি কোথায় স্থাপন করা হবে?
মূর্তিটি মুম্বাইয়ের উপকূলের কাছে স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মূর্তি তৈরির কাজ কখন শুরু হয়েছে?
মূর্তি তৈরির কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল।
এই প্রকল্পের জন্য কত টাকা খরচ হচ্ছে?
এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩,৬০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
মূর্তিটি কেমন দেখতে হবে?
মূর্তিটি ১৯২ ফুট উঁচু হবে এবং শিবাজিকে একটি ঘোড়ায় বসিয়ে দেখানো হবে।