ভদ্রকের সংঘর্ষ: সোশ্যাল মিডিয়ার অভিঘাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, কি শিখছে সমাজ?

News Live

ভদ্রকের সংঘর্ষ: সোশ্যাল মিডিয়ার অভিঘাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, কি শিখছে সমাজ?

ওড়িশার ভদ্রকে শহরে একটি আপত্তিকর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে প্রশাসন পুরানবাজার থানার আওতাধীন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্যরা পাথরের আঘাতে আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য জমায়েত, সভা এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছে যে পুলিশ পোস্টের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি, যা বিক্ষোভের সূত্রপাত করে। এই ঘটনার ফলে পুলিশ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।



ভদ্রকে সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

সম্প্রতি ওড়িশার ভদ্রকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আপত্তিকর পোস্টের কারণে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর প্রশাসন পুরানবাজার থানার আওতাধীন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংঘর্ষের সময় এক সম্প্রদায়ের মানুষজন পুলিশের ওপর পাথর ছুড়লে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। প্রশাসন অবিলম্বে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করেছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হিংসার ঘটনা এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে যাতে গুজব ছড়ানো না যায়। জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিতর্কিত পোস্টের কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে এবং এর ফলে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে ছিলেন ভদ্রক টাউন থানার আইআইসি অজয় সুদর্শন, এসআই রোজেন মুর্মু এবং ভদ্রক সিটির ডিএসপি আনসুমান দ্বিবেদী।

ভদ্রক জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হিংসা প্রতিরোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য জমায়েত, সভা এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বলা হয়েছে, যেকোনও ধর্মীয় সভা ও আন্দোলন ওই এলাকায় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এ ধরনের আইন লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, একটি গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে এবং এর জন্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভের জন্য জড়ো হন। তাদের পুলিশ বাধা দিলে তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং পুলিশের ওপর পাথর ছুঁড়তে থাকে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করেছে।

ভদ্রকে কী ঘটছে?

ভদ্রকে একটি আপত্তিকর পোস্ট নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, যার ফলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিচ্ছে?

প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।

কেন ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে?

ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে যাতে গুজব ছড়িয়ে পড়া এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।

এখন কি নিরাপদ আছে?

প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে, তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় মানুষ কী বলছে?

স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ রয়েছে, তারা শান্তির জন্য দোয়া করছেন।

মন্তব্য করুন