চতুর্দশী শিবাজী মহারাজের মূর্তি ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে মহাযোতির বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণের প্রেক্ষাপটে। শিবাজী মহারাজের মূর্তির এই অপ্রত্যাশিত পতন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক আন্দোলনের নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
Chhatrapati Shivaji Maharaj Statue Collapse Sparks Controversy in Maharashtra
The collapsed statue of Chhatrapati Shivaji Maharaj. (Image: News18)
রাজকোট দুর্গে চhat্রপতি শিবাজী মহারাজের একটি মূর্তি ভেঙে পড়ার পর, মালভন পুলিশ FIR দায়ের করেছে। এই FIR এ মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী সংস্থার মালিক জয়দীপ আপ্তে এবং কাঠামোগত উপদেষ্টা চেতন পাটিলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা শীঘ্রই গ্রেপ্তার হতে পারেন।
এই FIRটি মালভন পাবলিক ওয়ার্কস সাব-ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে। এতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার উল্লেখ রয়েছে।
মূর্তির উদ্বোধন মাত্র ৮ মাস আগে
মূর্তিটি ৩৫ ফুট উচ্চতার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে উদ্বোধন করা হয়। তবে আট মাসের মধ্যেই এর ভেঙে পড়া নির্মাণের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মূর্তিটি ভেঙে পড়ার আগে কয়েকদিন থেকে মরিচা ধরে গিয়েছিল। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) এই বিষয়ে নৌবাহিনীকে লিখিতভাবে অবহিত করেছিল। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, “মূর্তিটি নৌবাহিনীর দ্বারা নির্মিত হয়েছে এবং তারা কেবল ডিজাইন চূড়ান্ত করেছেন।”
অবকাঠামোগত পরিকল্পনার দায় অস্বীকার করেছেন পাটিল
পাটিল সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন যে তিনি পুরো কাঠামোর ডিজাইনে জড়িত ছিলেন না। তিনি জানান, মূর্তির নির্মাণ একটি থানে ভিত্তিক কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
প্রকল্পের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার ফলে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং গুণগত মান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে সরকারের নীতির সমালোচনা করছেন এবং প্রশ্ন তুলছেন।
এখন রাজ্য সরকারের জন্য এই ঘটনা রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনগুলির প্রেক্ষাপটে।
চতুর্থ শিবাজী মহারাজের মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা কেন ঘটলো?
মূর্তিটি ধ্বংসের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ তদন্ত করছে এবং কিছু লোককে গ্রেফতার করেছে।
কেন মূর্তির ওপর আক্রমণ হলো?
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার জন্য কিছু গোষ্ঠী মূর্তির ওপর আক্রমণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
পুলিশ তদন্ত করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
এই ঘটনার ফলে কি রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে?
হ্যাঁ, এটি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়।
জনতা কি এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে?
হ্যাঁ, অনেক মানুষ এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছেন।