মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি কেন্দ্রের কাছে এই সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন। কেন্দ্রের তরফ থেকে মমতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। জনগণের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নতুন দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভারতের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরেন, তখন কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে যে, বাংলায় ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতনের মামলার শুনানির জন্য 123টি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু অনেকগুলোই কার্যকর নয়।
কলকাতার RG কার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে 31 বছর বয়সী এক চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানোর পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লেখেন এবং ধর্ষকদের জন্য কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের দাবি জানান। তিনি তার চিঠিতে উল্লেখ করেন যে, দেশের মধ্যে প্রতিদিন 90টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হয়।
তিনি লেখেন, “এটি অত্যন্ত ভয়াবহ একটি প্রবণতা। এটি সমাজ ও দেশের আত্মবিশ্বাস এবং বিবেককে নাড়া দেয়। আমাদের দায়িত্ব এটি বন্ধ করা যাতে নারীরা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বোধ করে।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের গুরুতর ও সংবেদনশীল বিষয়টি একটি ব্যাপকভাবে সমাধান করা উচিত এবং ধর্ষকদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকা উচিত।”
মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির জবাবে লিখেছেন এবং কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার চিকিৎসকের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় ন্যায় সাঙ্ঘিতা গত মাসে কার্যকর হয়েছে এবং এটি নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়গুলোকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে সমাধান করে।”
মন্ত্রী জানান, অক্টোবর 2019 সালে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত স্থাপনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, “৩০ জুন ২০২৪ তারিখে ৩৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে 752টি FTSC কার্যকর হয়েছে, যার মধ্যে 409টি বিশেষ POCSO আদালত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ 123টি FTSC-এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।”
মন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই স্কিমে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তবে এখনও 11টি FTSC শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” তিনি এও উল্লেখ করেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা স্থাপিত নারীদের জন্য একটি জাতীয় হেল্পলাইন বাস্তবায়ন করেনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, “মহিলাদের এবং শিশুদের জন্য জরুরী সাহায্য প্রদান করার জন্য যে হেল্পলাইনগুলি স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের জন্য কার্যকর নয় কারণ রাজ্য সরকার এখনও WHL বাস্তবায়ন করেনি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নারীদের ও শিশুরা নিরাপদ এবং সুরক্ষিতভাবে বেড়ে ওঠার জন্য একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন রেপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রাজ্যের রেপের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কারণ এটি সমাজে নিরাপত্তার সমস্যা সৃষ্টি করছে।
কেন্দ্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
কেন্দ্র এখন এই সমস্যার সমাধানের জন্য বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে, যাতে নিরাপত্তা বাড়ানো যায়।
রাজ্য সরকার কী করছে?
রাজ্য সরকারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জনসাধারণের নিরাপত্তা কিভাবে বাড়ানো হবে?
নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশি কার্যক্রম বৃদ্ধি করা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
এমন ঘটনা কমাতে কী করা উচিত?
সমাজে সচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষা ও আইনগত সহায়তা দেওয়া উচিত যাতে সবাই নিরাপদে থাকতে পারে।