BJP জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে, তবে প্রথম পর্বের প্রার্থীদের নাম সংরক্ষণ করে বাকিদের বাদ দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, কারণ এটি দলের নির্বাচনী কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রথম পর্বের প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে, যা আসন্ন নির্বাচনের জন্য উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের জন্য বিজেপির প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ
শ্রীনগর:
বিজেপি আজ ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীরের তিন ধাপের নির্বাচনের জন্য ৪৪ জন প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, কিন্তু খুব শীঘ্রই এটি মুছে ফেলা হয়েছে। কিছু সময় পর, বিজেপি একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে শুধুমাত্র প্রথম ধাপের ১৫ জন প্রার্থীর নাম ছিল। প্রথম ধাপের প্রার্থীদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।
মুছে ফেলা তালিকা থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নাম অনুপস্থিত ছিল – জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপির সভাপতি রাভিন্দর রাইনা এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীরমল সিং ও কাভিন্দর গুপ্ত। তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের ভাই দেবেন্দ্র রানা, যিনি জাতীয় সম্মেলন থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
প্রথম তালিকায় দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং ১৪ জন মুসলিম প্রার্থীর নাম ছিল। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কংগ্রেস, জাতীয় সম্মেলন, পিডিপি এবং প্যান্থার্স পার্টির নেতা, যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদেরও নাম ছিল মুছে ফেলা তালিকায়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম বাদ পড়ার কারণে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরে বিজেপিকে প্রথম তালিকা মুছে ফেলতে বাধ্য করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীর ১৯, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর তিন ধাপে ভোট দেবে। ভোট গণনা হবে ৪ অক্টোবর। ২০১৯ সালে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা হারানোর পর এটি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম বিধানসভা নির্বাচন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি গতকাল দিল্লিতে একটি বৈঠক করে আসন্ন নির্বাচনের জন্য পার্টির প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের শেষ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিজেপি ২৫টি আসনে জয়লাভ করে এবং পিডিপি ২৮টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে।
এইবার জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন একটি ত্রিদলীয় প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে, যেখানে বিজেপি, পিডিপি এবং জাতীয় সম্মেলন-কেরালার জোট থাকবে। তবে কংগ্রেস ও জাতীয় সম্মেলনের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে এখনও কিছু সমস্যার সমাধান হয়নি।
আগে কংগ্রেস সভাপতি মালিকার্জুন খার্গে এবং লোকসভায় বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী জাতীয় সম্মেলনের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ এবং উপ-সভাপতি ওমর আবদুল্লার সঙ্গে দেখা করে তাদের জোটের ঘোষণা করেন।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তারুণ চুঘ বলেন, কংগ্রেস-জাতীয় সম্মেলনের জোট একটি ঘরের কার্ডের মতো ভেঙে পড়বে এবং অপমানজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হবে।
প্রশ্ন ১: বিজেপি কি জঙ্গু-কাশ্মীরের প্রার্থী ঘোষণা করেছে?
উত্তর: হ্যাঁ, বিজেপি জঙ্গু-কাশ্মীরের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
প্রশ্ন ২: বিজেপি কেন প্রার্থীদের সংখ্যা কমিয়েছে?
উত্তর: বিজেপি প্রথম দফার প্রার্থীদের নাম ধরে রাখার জন্য অন্য প্রার্থীদের বাদ দিয়েছে।
প্রশ্ন ৩: প্রথম দফার প্রার্থীরা কারা?
উত্তর: প্রথম দফার প্রার্থীদের নামগুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে বিজেপি তাদের তালিকা সংরক্ষণ করেছে।
প্রশ্ন ৪: প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হবে?
উত্তর: প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া বিজেপির দলের নীতিমালার ভিত্তিতে হবে এবং দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে।
প্রশ্ন ৫: এই সিদ্ধান্তের ফলে বিজেপির ভোটের পরিকল্পনায় কি পরিবর্তন আসবে?
উত্তর: প্রার্থীদের সংখ্যা কমানোর ফলে ভোটের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, তবে বিজেপি তাদের কৌশল নিয়ে কাজ করবে।