মমতার ‘জলযুদ্ধ’: কেন্দ্রীয় অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের বন্যা!

News Live

মমতার ‘জলযুদ্ধ’: কেন্দ্রীয় অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের বন্যা!

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডিভিসির ‘অপরিকল্পিত জল ছাড়ার’ কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মমতা বলেছেন, যদি কেন্দ্র ডিভিসির সদর দফতর কলকাতা থেকে সরিয়ে নেয়, তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। তিনি দাবি করেছেন, এই সংস্থার কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন। রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসুও ডিভিসির বোর্ড থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মমতা জানান, ডিভিসি বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা কার্যকরীভাবে কাজ করছে না।



জলযুদ্ধের নতুন উত্তেজনা: মমতার আক্রমণ

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ডিভিসির সদর দফতর কলকাতা থেকে সরানো হলে তাকে কোনও সমস্যা হবে না। এর আগে তিনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ‘টোটাল কাট আপ’ করার কথা বলেছিলেন। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির ‘অপরিকল্পিত জল ছাড়ার’ কারণে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিয়ে তিনি বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মমতা মঙ্গলবার বোলপুরে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘ডিভিসি যে সংস্থা, তাদের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তারা এখানে থাকুক, সেটি আমি চাই না।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রতি বছর ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির কারণে বাংলায় বন্যা হয়, এবং ডিভিসি জানিয়ে না জানিয়ে জল ছাড়ছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, ডিভিসি বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত হয়েছিল কিন্তু তারা ২০ বছর ধরে ড্রেজিং করেনি।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু ডিভিসির বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক চিঠিতে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। রাজ্যের দুই আধিকারিকের ইস্তফাপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘যখন ৮০ শতাংশ জল ভরে যাবে, তখন তোমরা ধীরে ধীরে জল ছাড়ো। একসঙ্গে এত জল ছাড়লে মাটি কীভাবে সহ্য করবে?’ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

ডিভিসির সদর দফতর কোথায় সরানো হয়েছে?

কলকাতা থেকে ডিভিসির সদর দফতর অন্য জায়গায় সরানো হয়েছে, কিন্তু মমতা বলছেন, এতে কিছু যায় আসে না।

মমতার বক্তব্যের গুরুত্ব কী?

মমতা দাবি করেছেন যে, সদর দফতর সরানো হলে সাধারণ মানুষের উপর তেমন প্রভাব পড়বে না।

ডিভিসির কাজ কী?

ডিভিসি মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জল সরবরাহের কাজ করে।

ডিভিসির সদর দফতর সরানোর ফলে কি কোনো সমস্যা হবে?

মমতা বলেন, সদর দফতর সরানোর ফলে কোনো সমস্যা হবে না, কারণ ডিভিসির কাজ চলতেই থাকবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতার কি কোনো পরিকল্পনা আছে?

মমতা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো বিরোধিতা প্রকাশ করেননি, বরং তিনি পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী।

মন্তব্য করুন