মমতার জল-রাজনীতির জালে ঝাড়খণ্ডের প্রতিবাদ: বাণিজ্য ও জনজীবনে টানাপোড়েন!

News Live

মমতার জল-রাজনীতির জালে ঝাড়খণ্ডের প্রতিবাদ: বাণিজ্য ও জনজীবনে টানাপোড়েন!

ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ার পর বাংলাগামী ট্রাকগুলোকে সীমান্তে আটকে রাখা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে তিন দিন ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত বন্ধ থাকবে এবং ডিভিসির সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। এর ফলে ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় আসা ট্রাকগুলোর লম্বা সারি পড়ে গেছে, যা বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে, ঝাড়খণ্ডের সাধারণ মানুষও বাংলাগামী গাড়ি আটকে দিতে শুরু করেছেন। পরিস্থিতি এখন খুবই জটিল, কারণ ট্রাকে থাকা পণ্য পচে যেতে পারে, যা উভয় রাজ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে।



ঝাড়খণ্ড-বাংলার সীমান্তে উত্তেজনা: ট্রাক আটকে, ব্যবসায়ীরা বিপদে

জল ছেড়ে দিয়েছে ডিভিসি, আর এর ফলে বাংলাগামী সমস্ত ট্রাক ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে তিনদিন ঝাড়খণ্ডের বর্ডার বন্ধ থাকবে। এর ফলে দীর্ঘ লম্বা ট্রাকের লাইন সৃষ্টি হয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মমতা জানান, ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে ট্রাক আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। প্রশ্ন উঠছে, এসব ট্রাক থেকে বাংলায় জিনিসপত্র আসছিল, তাই না আসলে বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে। তাহলে এর দায় কে নেবে?

এদিকে, বাংলা থেকে যাওয়া গাড়িগুলিও ঝাড়খণ্ডে আটকে পড়ছে। স্থানীয়রা এই গাড়িগুলিকে আটকানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং পথ অবরোধ চলছে।

ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারা বাংলা থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এদিকে বাংলার সাধারণ মানুষের উদ্বেগ, ট্রাকের পণ্য চলে গেলে সেগুলো পচে যেতে পারে। আর এতে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলার ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কুলটি থানার আওতায় পুলিশ ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ট্রাকগুলো আটকাতে শুরু করেছে। এর ফলে সীমান্তে বিশাল ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে। বাংলার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার সমস্ত গাড়ি আটকে দিচ্ছে।

ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দলনেতা অমর কুমার মমতার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, জল ছাড়ার প্রক্রিয়া সব স্ট্যান্ডার্ড মেনে হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।

এটা কি ঘটনা?

এটি একটি ঘটনা যেখানে বাংলা থেকে যাওয়া যাত্রীবাহী গাড়ি ঝাড়খণ্ডে আটকে গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের কারণে।

বাসিন্দারা কেন প্রতিবাদ করছেন?

বাসিন্দারা মনে করছেন যে গাড়িগুলি তাদের এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং স্থানীয় নিয়মাবলী মানা হচ্ছে না।

এতে যাত্রীদের কী সমস্যা হচ্ছে?

যাত্রীদের গাড়ি আটকে যাওয়ার কারণে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি সমাধানে কাজ করছে।

যাত্রীদের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?

যাত্রীদেরকে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে এবং পরিস্থিতি উন্নতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

মন্তব্য করুন