বন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বিরোধীদের ক্ষোভ: রাজনীতির জলরাশি কি আদৌ সংবেদনশীল?

News Live

বন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বিরোধীদের ক্ষোভ: রাজনীতির জলরাশি কি আদৌ সংবেদনশীল?

ঝাড়খণ্ডের সীমানা সিল করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যার ফলে রাজ্যের ৭ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নির্দেশকে বেআইনি দাবি করে অবিলম্বে আধাসেনা মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি লিখবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে, ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা কমে গেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও ডিভিসি ড্রেজিং না করার জন্য প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে হাজার হাজার ট্রাকচালক সমস্যায় পড়েছেন, কারণ পুলিশ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।



ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করার নির্দেশ, বিরোধী দলনেতার প্রতিবাদ

ডিভিসির মাধ্যমে জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশকে বেআইনি দাবি করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে আধাসেনা মোতায়েনের দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “যদি বেলা ২টার মধ্যে যান চলাচল শুরু না হয়, তাহলে অমিত শাহজিকে চিঠি লিখব।”

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর ঝাড়গ্রাম-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত অলিখিতভাবে সিল করা হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার গাড়ি আটকে রয়েছে। প্রধান সচিবের লিখিত নির্দেশ দেওয়ার অধিকার নেই। ঝাড়খণ্ডের গাড়ি আটকালে সব পেঁয়াজ আটকাবে, এটি সঠিক নয়।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে বলেন, “ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা মাত্র ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। কেন কেন্দ্রীয় সরকার ও ডিভিসি ড্রেজিং করবে না? বাংলা জ্বলছে আর ঝাড়খণ্ডকে সেফ রাখা হচ্ছে, এটি ঠিক নয়।”

এদিকে, এই নির্দেশের ফলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে হাজার হাজার ট্রাকচালক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

জাতীয় সড়ক চালু কেন হচ্ছে না?

জাতীয় সড়ক চালু না হওয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যেমন যানজট এবং মানুষের জীবনযাত্রায় অসুবিধা।

আমি কীভাবে অমিত শাহজিকে চিঠি লিখতে পারি?

আপনি একটি সাধারণ চিঠি লিখে ডাকযোগে পাঠাতে পারেন অথবা অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর জন্য কী প্রয়োজন?

যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হতে পারে।

চিঠিতে কী লেখা উচিত?

চিঠিতে আপনার সমস্যা, পরিস্থিতির বর্ণনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর আবেদন উল্লেখ করুন।

এতে কী ফলাফল হবে?

যদি আপনার চিঠি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে পদক্ষেপ নিতে পারে।

মন্তব্য করুন