মুখ্যমন্ত্রীর ‘মানবিক মুখ’ খুঁজে পাচ্ছে না জুনিয়র ডাক্তাররা, ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘটের হুমকি!

News Live

মুখ্যমন্ত্রীর ‘মানবিক মুখ’ খুঁজে পাচ্ছে না জুনিয়র ডাক্তাররা, ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘটের হুমকি!

আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশন করছেন। তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এই ধর্মঘটে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অংশ নেবেন। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানান, মুখ্যমন্ত্রী যদি দাবি না মানেন, তাহলে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতির কাজ চলছে, কিন্তু ডাক্তারদের দাবি পূরণ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।



আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যার পর জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন

আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। আন্দোলনরত ডাক্তাররা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী সোমবারের মধ্যে যদি তাদের দাবিগুলি পূরণ না হয়, তাহলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে। এই ধর্মঘটে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সামিল হবে।

জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, আজ সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তা এবং রেস্টরুমের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের কাজও আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ডাক্তারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাবেশের আহ্বান জানানো হয়েছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি তুলে ধরা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল নিজের বাসভবনে পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। মুখ্যসচিবের মাধ্যমে তিনি কাজের গতি বাড়াতে নির্দেশ দেন। তবে দেবাশিস হালদার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যদি সোমবারের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে মঙ্গলবার থেকে তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন।

জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচটি দাবি নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে চারটি দাবি সঙ্গে সঙ্গে পূরণ হয়। পরে তারা ১০টি দাবি তুলে ধরেন। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সাতটি দাবি মানা হয়েছে, কিন্তু বাকি তিনটির জন্য সময় লাগবে। দেবাশিস হালদার বলেন, “যদি এই কর্মসূচির সময়ে কারও প্রাণহানি ঘটে, তাহলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে।” তারা আশা করছেন, দ্রুত একটি সমাধান আসবে।

আরও পড়ুন: হাতে সময়সীমা একসপ্তাহ, মুখ্যসচিবের নির্দেশে দ্রুত পাল্টাচ্ছে সরকারি হাসপাতালের ছবি

জুনিয়র ডাক্তাররা কেন ধর্মঘট ডাকছেন?

জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কাজের পরিবেশ এবং বেতন নিয়ে অসন্তুষ্ট। তারা রাজ্য সরকারকে দাবি পূরণের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

সময়সীমা কি নির্ধারণ করা হয়েছে?

জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়েছেন, যার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এই ধর্মঘটের ফলে কি প্রভাব পড়বে?

এই ধর্মঘটের ফলে হাসপাতালগুলোর সেবা ব্যাহত হবে, এবং রোগীদের চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে।

সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সরকার এখনও এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আলোচনা করছে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করছে।

রোগীরা কি করবেন?

রোগীদের জন্য পরামর্শ হলো, তারা জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন হলে অন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারেন, কারণ হাসপাতালে সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।

মন্তব্য করুন