রাজনীতির রঙে মলিন, পরমব্রতর প্রতিবাদে তৃণমূলের শাসন ভঙ্গুর!

News Live

রাজনীতির রঙে মলিন, পরমব্রতর প্রতিবাদে তৃণমূলের শাসন ভঙ্গুর!

আর জি কর কাণ্ডের কারণে তৃণমূল সরকার এখন চাপে রয়েছে। টলিপাড়ার অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতা ভুলে না যাওয়ার জন্য সরকারের প্রতি সতর্কবার্তা দেন। তিনি জানান, আন্দোলনের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর তুলনায় তৃণমূলকে বেশি সতর্ক হতে হবে। রুদ্রনীল ঘোষ, যিনি এখন বিরোধী দলের মুখ, পরমব্রতকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে মন্তব্য করেছেন। পরমব্রত বলেন, যখন সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক রং ছাড়াই আন্দোলন করে, তখন শাসক-বিরোধী সবাই সেই আন্দোলনকে খাটো করার চেষ্টা করে।



আরজি কর কাণ্ডে তৃণমূলের চাপ

আরজি কর কাণ্ডের ফলে তৃণমূল সরকার এখন বেশ কোণঠাসা। টলিপাড়ার শাসক দলের ঘনিষ্ঠরাও এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছেন। অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রতিবাদে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং বুধবার তিনি রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্সি কলেজে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পরমব্রত বলেন, কাউকে যেন টেকেন ফর গ্র্যান্টেড না নেওয়া হয়। তিনি জনগণের ক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বিরোধী দলের তুলনায় তৃণমূলকে বেশি এগিয়ে রাখা হবে। গত এক মাসের আন্দোলন পরিষ্কার করে দিয়েছে, যে শাসক দল জনগণের ভোটে গঠিত, তাদের ক্ষমতা নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়।’

পরমব্রতের পুরনো বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ, যিনি এখন বিজেপির সদস্য, পরমব্রতর উপলব্ধির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেউ বিবেকের দংশনে কথা বলছেন, কেউ ইমেজ বাঁচাতে নামছেন। পরম বরাবরই আমার ভালো বন্ধু।’ তবে রুদ্রনীল পরমব্রতকে সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলটির ভোটে এগিয়ে থাকা নিয়ে ভাবতে হবে।

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদী জনতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতাদের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রসঙ্গে পরমব্রত বলেন, ‘যখন একটি বৃহৎ জনগণ আন্দোলনে নামে, তখন শাসক-বিরোধী সবাই চেষ্টা করে সেই আন্দোলনকে খাটো করতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে সাধারণ মানুষেরা এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং লাগতে দেননি।’

এখন দেখার ব্যাপার হলো, এই আন্দোলন তৃণমূল সরকারের ওপর কি প্রভাব ফেলে এবং পরমব্রতসহ অন্যান্য অভিনেতারা কি ধরনের ভূমিকা নেন।

১. “কাউকে টেকেন ফর গ্রান্টেড” বিষয়টা কী?

এটা মানে হচ্ছে কাউকে গুরুত্ব না দিয়ে সহজে নিতে থাকা। এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।

২. মমতা সরকারের প্রতি পরমের তোপ কেন?

পরম বলছে, মমতা সরকারের কাজের প্রতি তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি মনে করেন সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।

৩. “কেউ ইমেজ বাঁচাতে…” কথাটা কি বোঝায়?

এই কথাটা বোঝায় যে কেউ তার ভালো ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

৪. রুদ্রনীলের পালটা বক্তব্য কী?

রুদ্রনীল বলেছেন, তিনি পরমের বিরুদ্ধে কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। তার মতে, কিছু বিষয় নিয়ে পরিষ্কার হওয়া উচিত।

৫. এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এগুলো আমাদের সমাজ ও রাজনীতির অবস্থা বোঝাতে সাহায্য করে। এতে আমরা আরও সচেতন হতে পারি।

মন্তব্য করুন