সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীদের মাঠে নামিয়েছেন। তিনি আজ হাওড়া ও হুগলি অঞ্চলে বন্যা পরিদর্শনে যাচ্ছেন, বিশেষ করে উদয়নারায়ণপুর ও আমতা এলাকায়। প্রশাসন ফ্লাড সেন্টার খোলার ব্যবস্থা করেছে, যেখানে শুকনো খাবার এবং পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। পঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হয়েছে, ফলে নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরেজমিনে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন
গত কদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ও ডিভিসির অপ্রত্যাশিত জল ছাড়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদদের মাঠে নামিয়েছেন। প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলায় তৎপর হয়েছে, এবং আজ মুখ্যমন্ত্রী সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। জানা গেছে, তিনি হাওড়া ও হুগলির কিছু এলাকা পরিদর্শন করবেন, বিশেষ করে উদয়নারায়ণপুর এবং আমতার দিকে তাঁর নজর রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি কালীঘাট থেকে বের হয়েছে এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে উলুবেড়িয়ার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে। হাওড়ায় রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন। হাওড়ার নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে এবং দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ কয়েক হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যা গ্রামীণ অঞ্চলে বানভাসী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, প্রশাসন ফ্লাড সেন্টার খুলে দিয়েছে যেখানে শুকনো খাবার, শিশুদের খাবার, পানীয় জল এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গবাদি পশুর জন্যও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যার কারণে কৃষি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আতঙ্ক বাড়ছে। বর্তমানে হুগলির আরামবাগ ও গোঘাটের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুতর। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর কেন হচ্ছে?
মুখ্যমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফর করছেন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অবস্থা জানা যায় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
মুখ্যমন্ত্রী কোন কোন জায়গায় যাবেন?
মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জায়গায় যাবেন, তবে সঠিক স্থান তার সফরের সময় জানানো হবে।
সফরের সময় জনগণের জন্য কী সুবিধা থাকবে?
সফরের সময় জনগণকে তাদের সমস্যাগুলি জানাতে বলা হবে এবং মুখ্যমন্ত্রী তাদের শোনার চেষ্টা করবেন।
বন্যার কারণে কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে?
বন্যার কারণে ভূমি, কৃষি, এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা অর্থনৈতিকভাবে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
সরকার কীভাবে সাহায্য করবে?
সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করবে এবং দ্রুত সাহায্য পাঠানোর উদ্যোগ নেবে।