যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, যেমন র্যাগিং এবং শিক্ষার মানের অবনতি। তবে, সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত কম ফি দেখে অবাক হয়েছেন। তাঁরা জানতে পেরেছেন, কলা বিভাগে বার্ষিক টিউশন ফি ৯৫০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগে ১৫৫০ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২৪৫০ টাকা। এর পাশাপাশি, হস্টেল ফি মাসে মাত্র ২৫ টাকা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে রয়েছে এবং অবকাঠামোর অভাবও আছে, তবুও তারা এত কম ফিতে উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রশংসিত হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি কীভাবে চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো নিয়ে ন্যাকের বিস্ময়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, যেমন র্যাগিং এবং পড়াশোনার মান কমে যাওয়া। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনও কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সামনে নিয়ে আসছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ন্যাক) প্রতিনিধিরা এখানে পরিদর্শনে এসে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো দেখে। দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কম ফি কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
২০২৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের কারণে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় এবং ২০২৪ সালেও একই অভিযোগ উঠেছিল। এই কারণে ইউজিসি-তে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে, ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাকের ছয় সদস্যের একটি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের মানের মূল্যায়ন করবেন। তবে, তাদের উদ্বেগ ছিল ফি কাঠামো নিয়ে, কারণ তারা জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
পরিদর্শক দলের সদস্যরা জানতে চান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি কেমন। তাদের জানানো হয়, কলা, বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বার্ষিক টিউশন ফি যথাক্রমে ৯৫০ টাকা, ১৫৫০ টাকা এবং ২৪৫০ টাকা। এখানে হোস্টেল ফি মাসিক মাত্র ২৫ টাকা। সরকারি সাহায্যের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সমস্যায় রয়েছে। ফি বাড়ানোর বিষয়ে একাধিকবার সুপারিশ এসেছে, কিন্তু তাতে কিছু হয়নি। পূর্বের উপাচার্য প্রাক্তনীদের সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন, এবং কিছু প্রাক্তনী সাহায্যেও এগিয়ে এসেছিলেন।
অর্থনৈতিক সমস্যা থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকাঠামোর কিছু অভাব রয়েছে, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। ন্যাকের প্রতিনিধিরা পরিদর্শনের সময় বেশ কিছু ভবন ভগ্নপ্রায় দেখে সেগুলি মেরামতের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। পরীক্ষাগারের স্থান সংকট এবং শৌচাগারের রক্ষণাবেক্ষণের অবস্থা নিয়েও তাদের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে। তবুও, এত কম ফি নিয়ে যেভাবে উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে তারা বিস্মিত হয়েছেন। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলবে, তা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
এত কম ফি এখানে কেন?
এখানে কম ফি রাখার কারণ হলো, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য তারা শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায়।
ফি বৃদ্ধি হবে কি?
বর্তমানে ফি বৃদ্ধি নিয়ে কোনো তথ্য নেই, তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।
ফি পরিশোধের জন্য কিভাবে আবেদন করব?
ফি পরিশোধের জন্য অনলাইনে বা ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট স্থানে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
ছাত্রদের জন্য কি কোনো স্কলারশিপ রয়েছে?
হ্যাঁ, বিভিন্ন স্কলারশিপ এবং আর্থিক সহায়তার সুযোগ রয়েছে, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের ছাত্রদের জন্য উপলব্ধ।
ফি কিভাবে পরিশোধ করতে হয়?
ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হয় অথবা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে করা যেতে পারে।