বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ভারত থেকে তেলের রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে। অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান রঞ্জিত নাথ জানিয়েছেন, নুমালিগড় তৈল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করা হচ্ছে কোনো বিঘ্ন ছাড়াই। শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতি বছর ১ মিলিয়ন টন ডিজেল রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে ৪০০,০০০ টন ডিজেল রপ্তানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে দেশটির উন্নয়নে, যা বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও তেল রপ্তানি অব্যাহত
সম্প্রতি বাংলাদেশে এক উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে ছাত্র-গণ আন্দোলনের ফলে রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্ম হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারত থেকে তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন বিঘ্ন ঘটেনি। অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান রঞ্জিত নাথ নিশ্চিত করেছেন যে, অসমের নুমালিগড় তৈল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে তেল রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার, রঞ্জিত নাথ জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থা থেকে ডিজেল রপ্তানিতে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। নুমালিগড়ের তৈল শোধনাগার থেকে শিলিগুড়ি হয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ৪০০,০০০ টন ডিজেল রপ্তানি করা হচ্ছে। এই পাইপলাইন ভারতের সীমার মধ্যে ৫.১৫৬ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের সীমা রেখার মধ্যে ১২৪.৩৪৬ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে।
গত অগস্ট মাসের শুরুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান এবং পদত্যাগ করেন। এই পরিস্থিতিতে অনেক ভারতীয় সংস্থার ব্যবসায়িক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়েছে। আদানির মতো কোম্পানি বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও, তাদের বকেয়া অর্থের পরিমাণ বেশ অনেক।
এদিকে, আমেরিকা বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে মানুষে মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। এদিকে, দেশের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ভারত বাংলাদেশে তেল রপ্তানি করছে কেন?
বাংলাদেশের জন্য তেল রপ্তানি করা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা প্রতিবেশী দেশের শক্তি প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করছে।
এটা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রেখে তেল রপ্তানি করছে।
এই রপ্তানির প্রভাব কী হবে?
এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং শক্তি সংকট কমাতে সাহায্য করবে।
তেল রপ্তানির জন্য কি বিশেষ কোনো প্রক্রিয়া আছে?
হ্যাঁ, তেল রপ্তানির জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়।
ভারত কি ভবিষ্যতে আরও তেল রপ্তানি করবে?
হ্যাঁ, ভারতের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশে তেলের রপ্তানি বাড়ানোর।