চিনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছে সুন্দরী মহিলা ও সুদর্শন পুরুষদের থেকে। তারা জানিয়েছে, এই ব্যক্তিরা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গুপ্তচরবৃত্তির জন্য বাধ্য করতে পারে। বিদেশী গুপ্তচররা তরুণদের কৌতূহল ও সৌন্দর্যের সুযোগ নিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে। তারা মার্কেট রিসার্চ বা উচ্চ বেতনের চাকরির প্রস্তাবও দিতে পারে। একবার ফাঁদে পড়লে, শিক্ষার্থীরা গোপন তথ্য শেয়ার করতে বাধ্য হতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। চিনের এই সতর্কবার্তা বিদেশি গুপ্তচরদের কার্যকলাপের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, তবে তারা এখনও নির্দিষ্ট সংস্থার নাম প্রকাশ করেনি।
চীনের সতর্কবার্তা: শিক্ষার্থীদের প্রেমের ফাঁদে পড়া থেকে সাবধান
সুদর্শন পুরুষ এবং সুন্দরী মহিলাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের শিক্ষার্থীদের এমনই পরামর্শ দিয়েছে চীন। নাহলে দেশের গোপন তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। সম্প্রতি, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় তাদের পাবলিক উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এই সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে।
কীভাবে ফেঁসে যেতে পারে পড়ুয়ারা
চীনের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রেমের আগ্রহ দেখিয়ে সুন্দর মহিলা বা পুরুষেরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করতে পারে। একবার প্রেমের জালে ফাঁসলে, শিক্ষার্থীদের গুপ্তচরবৃত্তির জন্য বাধ্য করা হতে পারে। এতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
অধিকারীরা জানিয়েছেন, বিদেশী গুপ্তচররা তরুণ শিক্ষার্থীদের কৌতূহল এবং নতুন জিনিসের প্রতি আগ্রহকে কাজে লাগায়। তারা সৌন্দর্য্যের সুযোগ নিয়ে প্রেমের জালও বিছাতে পারে। জানা গেছে, বিদেশী গুপ্তচররা প্রায়শই কলেজ পড়ুয়াদের টার্গেট করে, যাদের কাছে দেশের গবেষণা বা গোপন তথ্য রয়েছে। এই তথ্য পেতে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বা কোনও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হওয়ার ভান করে।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিদেশী গুপ্তচররা উচ্চ বেতনের পার্ট টাইম চাকরির প্রস্তাব দিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে। একবার শিক্ষার্থীরা আগ্রহ দেখালে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন কল বা ভিডিয়ো চ্যাটের মাধ্যমে বিনামূল্যে ট্রেনিং ও পরামর্শ প্রদান করতে শুরু করে। এভাবে তারা শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস অর্জন করে এবং গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়।
চীনের এজেন্সি এখনও পর্যন্ত কোনও বিদেশি সংস্থার নাম প্রকাশ করেনি, যারা শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেছে।
প্রশ্ন ১: চিনের ছাত্রদের সতর্কবার্তা কেন?
উত্তর: চিনের সরকার সুন্দরীদের থেকে সাবধান থাকতে বলেছে কারণ তারা মনে করে, কিছু সুন্দরী ছাত্রদের পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে।
প্রশ্ন ২: এই সতর্কবার্তার পেছনে কি কারণ আছে?
উত্তর: চিনের সরকার মনে করে যে, সুন্দরী মেয়েদের দিকে ছাত্রদের আকর্ষণ তাদের পড়াশুনার কার্যকারিতা কমিয়ে ফেলতে পারে।
প্রশ্ন ৩: ছাত্রদের কি করা উচিত এই সতর্কবার্তার পর?
উত্তর: ছাত্রদের উচিত তাদের পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ দেয়া এবং অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকা।
প্রশ্ন ৪: কি ধরনের বিভ্রান্তি হতে পারে?
উত্তর: সুন্দরী মেয়েদের দিকে বেশি নজর দেওয়া, সময় নষ্ট করা এবং পড়াশুনার কাজ থেকে বিরত থাকা।
প্রশ্ন ৫: এই সতর্কবার্তায় কি শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য?
উত্তর: হ্যাঁ, তবে এটি ছাত্রীদেরও সমানভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তাই সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।