আরজি করের লাশকাটা ঘরের ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সিবিআই তদন্তে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে মরদেহের সহবাসের ছবি পাওয়া গেছে এবং গত সাত বছরে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২০০ কোটি টাকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, যিনি এক দশক আগে মরণোত্তর দেহদান করেছেন, এই ঘটনার পরেও তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। তিনি বলেন, সমাজের উপকার হলে তাঁর এই পদক্ষেপ মূল্যবান হবে। তবে টলিপাড়ার অনেকেই এখন দেহদান নিয়ে শঙ্কিত। ঋতুপর্ণা এবং অন্যান্য শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
আরজি কর কাণ্ডে রাজনীতিতে তোলপাড়
আরজি করের লাশকাটা ঘরের রহস্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। নির্যাতিতা তরুণীর খুন ও ধর্ষণের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, মরদেহের সঙ্গে ধৃত সঞ্জয়ের সহবাসের ছবি উদ্ধার হয়েছে, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। তদন্তকারীদের মতে, গত সাত বছরে রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে অন্তত ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এ কারণে জনমনে আতঙ্ক এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
দেহদানে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার ভাবনা
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই মরণোত্তর দেহদান নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি এক দশক আগে চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নতির জন্য নিজের দেহ দান করেছেন। এই সিদ্ধান্তে তিনি কোনোরকম দ্বিধা অনুভব করেননি, কারণ তার পরিবারও এই পথে হাঁটতে পছন্দ করে। ঋতুপর্ণা বলেন, “মৃত্যুর পরও যদি সমাজের উপকার হয়, তাহলে আমার ভালো লাগবে।”
নির্যাতিতার জন্য ন্যায়ের দাবি
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নেমে হেনস্থার শিকার হয়েছেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, “আমি চাই নির্যাতিতা যেন ন্যায় পায়।” বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন, কারণ তার স্বামী সিঙ্গাপুরে ব্যবসায় ব্যস্ত এবং ছেলে আমেরিকায় পড়াশোনা করছে।
টলিপাড়ার দেহদান নিয়ে উদ্বেগ
অনেক টলিপাড়ার সদস্যই মরণোত্তর দেহদান নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন। পরিচালক সুব্রত সেন এবং অপরাজিতা আঢ্যও মৃতদেহের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সমাজের জন্য কিছু করতে পারা নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ স্পষ্ট।
এখন দেখার বিষয়, রাজনীতির এই তোলপাড় কিভাবে সমাজের দেহদান এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপর প্রভাব ফেলে।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কে?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একজন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী।
মর্গের মৃতদেহ ঘিরে দুর্নীতি কি?
মর্গের মৃতদেহ নিয়ে ২০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা সমাজে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
ঋতুপর্ণার মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত কি?
ঋতুপর্ণা মরণোত্তর দেহদান নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তিনি আফসোস করেছেন যে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
দেহদান করার সুবিধা কি?
দেহদান করলে চিকিৎসা গবেষণা এবং শিক্ষায় সাহায্য হয়, যা সমাজের উপকারে আসে।
ঋতুপর্ণার এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য কি?
ঋতুপর্ণা মনে করেন যে, এরকম বিষয় নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি এবং তিনি দেহদানের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।