মমতার ‘দিদি’ রূপে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে, তবে ন্যায়বিচারের দাবি কি ম্লান হবে?

News Live

মমতার ‘দিদি’ রূপে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে, তবে ন্যায়বিচারের দাবি কি ম্লান হবে?

আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছে। তারা বিচারের দাবি জানাচ্ছে, এবং স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন এবং নতুন করে গঠনের কথা বলেছেন। তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আবেদন করেছেন কাজে যোগ দিতে, এবং বলেন, “আমি আপনাদের প্রতি অবিচার করব না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার অনুরোধ করেছেন এবং দোষীদের শাস্তির নিশ্চয়তা দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন জারি রয়েছে, এবং তারা সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।



আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক হত্যার পর আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা

আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, যা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁরা বিচার দাবি করে স্লোগান তুলছেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ চলছে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। তিনি রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন এবং নতুন করে গঠন করার পরিকল্পনা করেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা

স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। এখানে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে এবং সদস্য হিসেবে থাকবে জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ।’ তিনি ডাক্তারদের কাছে আবেদন করেন যেন তাঁরা কাজে ফিরে আসেন।

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি

জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁদের দাবি, সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে এবং দোষীদের ফাঁসি দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আপনাদের ঘরের ভাই-বোন। আমি অবিচার হতে দেব না।’ তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা চান এবং বলেন, ‘দয়া করে আমাকে সময় দিন।’

মমতার ঘোষণা কী?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যের সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হবে।

এটি কেন করা হচ্ছে?

এটি হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম উন্নত করার জন্য এবং রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

রোগী কল্যাণ সমিতি কি?

রোগী কল্যাণ সমিতি হলো এমন একটি সংগঠন, যা হাসপাতালে রোগীদের সেবা ও সুবিধার উন্নয়নে কাজ করে।

এখন রোগীদের কি হবে?

রোগীদের সেবা ঠিক রাখতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং তাদের সুবিধার জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হবে।

এ বিষয়ে রোগীদের কিভাবে জানানো হবে?

সরকারি দপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রোগীদের এই পরিবর্তনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য করুন