রাজস্থানের একটি ফিজিয়োথেরাপি কেন্দ্রে মহিলাদের গোপনে অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড করার অভিযোগে চিকিৎসক ডা. সুরেশ জাঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এক মহিলা কর্মী চিকিৎসকের সন্দেহজনক আচরণ দেখে পুলিশে অভিযোগ করেন। তদন্তে পুলিশ ওই কেন্দ্রের শৌচালয় থেকে গোপন ক্যামেরা ও ডাক্তারের ব্যাগ থেকে আরও একটি ক্যামেরা এবং পেনড্রাইভ উদ্ধার করে, যেখানে মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও ছিল। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। এটি আবারও প্রমাণ করেছে, কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তা কতটা গুরুতর সমস্যা।
রাজস্থানে মহিলাদের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা: চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মহিলাদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার অভাব আরেকবার সামনে এলো। রাজস্থানের লক্ষ্মণগড় এলাকার একটি ফিজিয়োথেরাপি কেন্দ্রে, চিকিৎসক ডা. সুরেশ জাঙ্গির বিরুদ্ধে মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও গোপনে রেকর্ড করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানায়, এক মহিলা কর্মী এই অভিযোগ উত্থাপন করেন, যার ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায়।
অভিযানে মহিলাদের শৌচালয় থেকে একটি গোপন ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকের কেবিনে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় আরও একটি গোপন ক্যামেরা এবং একটি পেনড্রাইভ, যাতে মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও ছিল। ডিএসপি দিলীপ মিনা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রতিদিন সকালে শৌচালয়ে ঢুকে গোপন ক্যামেরা বদল করতেন।
ডা. সুরেশ জাঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত করছে তিনি কতদিন ধরে এই কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। এলাকার মানুষ এই ঘটনায় হতবাক এবং দ্রুত তদন্ত ও দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছেন। কলকাতার আর জি কর কাণ্ডের পর এই ঘটনা আবারও কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা উস্কে দিয়েছে।
মহিলাদের নিরাপত্তা: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
রাজস্থানের এই ঘটনাটি দেখিয়ে দেয়, কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।
গোপন ক্যামেরা কী?
গোপন ক্যামেরা হলো এমন একটি ক্যামেরা যা সাধারণত মানুষের নজরে আসে না এবং এটি গোপনে ভিডিও ধারণ করে।
এটি মহিলা শৌচালয়ে কেন বসানো হয়েছিল?
এই ঘটনা ঘটে চিকিৎসকের দ্বারা, যিনি মহিলা কর্মীদের শৌচালয়ে গোপনভাবে ক্যামেরা বসিয়ে তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন।
এতে কি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
হ্যাঁ, গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করা আইনত অপরাধ, এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহিলা কর্মীরা কিভাবে রক্ষা পাবেন?
মহিলা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং শৌচালয়ের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এমন ঘটনা আবার ঘটলে কি করা উচিত?
এমন ঘটনা ঘটলে শীঘ্রই পুলিশ বা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য নেওয়া উচিত।