শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর মেডিক্যালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ‘খুনি’ বলে আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এবং চিকিৎসকদের একাংশকে দায়ী করেন। মৃতের পরিবার দাবি করছে যে, হাসপাতালে ২ ঘণ্টা চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা এক মাস ধরে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখেছে, তাদের ডাক্তার হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে, তাদের ডাক্তারি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত নয়। এই ঘটনার পেছনে গভীর অসন্তোষ রয়েছে, যা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলে।
আরজি কর মেডিক্যালে মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা
আরজি কর মেডিক্যালে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডাক্তারদের ‘খুনি’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যারা এক মাস ধরে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখেছে, তারা ডাক্তার হওয়ার যোগ্য নয়। সম্প্রতি, কোন্নগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্য নামের ওই যুবক বিনা চিকিৎসায় মারা যান বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃত্যুর পর যুবকের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, ডাক্তাররা তার চিকিৎসা করতে বিলম্ব করেছেন। যদিও হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার দাবি করেছেন, রোগী গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আসার পর যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, শ্রীরামপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, যুবককে দ্রুত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছিল, কিন্তু সমস্যা ছিল অ্যাম্বুল্যান্সের।
অন্যদিকে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটি একটি গুরুতর অপরাধ। ডাক্তারদের উচিত তাদের দায়িত্ব পালন করা। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাব, যারা এক মাস ধরে স্ট্রাইক করেছে, তাদের ডাক্তারি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত নয়।” তিনি দাবি করেন যে, চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যু ঘটেছে এবং এর বিচার করা প্রয়োজন।
এদিকে, মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং তারা সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এই ঘটনা স্বাস্থ্য পরিষেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
১. কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন স্লোগান তুলছেন?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় খুনি ডাক্তারদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান তুলেছেন।
২. এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কী?
এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য হলো ডাক্তারদের অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির দাবি করা।
৩. আন্দোলনে কে-কেউ অংশ নিচ্ছে?
আন্দোলনে সাধারণ মানুষ, অন্যান্য ডাক্তার এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।
৪. আন্দোলনের সময়ে কী ধরনের স্লোগান দেওয়া হচ্ছে?
স্লোগানে “খুনি ডাক্তারের শাস্তি চাই” এই ধরনের দাবি আরোপিত হচ্ছে।
৫. এই আন্দোলন থেকে কি কিছু পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে?
হ্যাঁ, আন্দোলন থেকে আশা করা হচ্ছে যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।