গত দুই বছর ধরে কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিক পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। প্রশাসকরা পরিচালনা করছেন, ফলে স্থানীয় মানুষের সমস্যার সমাধানে কাউন্সিলররা নেই। এ অবস্থায়, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারী আর্জেন লামা আদালতে জানিয়েছেন, নির্বাচনের অভাবে সাধারণ মানুষের সমস্যা বেড়ে গেছে এবং উন্নয়নমূলক কাজও থমকে গেছে। হাইকোর্ট জানায়, দীর্ঘদিন প্রশাসক বসিয়ে রাখা যায় না এবং নির্বাচনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। শেষবার ভোট হয়েছিল ২০১৭ সালে, তারপর থেকে সরকার নির্বাচনে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আদালতের এ নির্দেশ রাজ্য সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ: পাহাড়ের তিন পুরসভায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে
গত দু’বছর ধরে পাহাড়ের কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিক পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এই তিনটি পুরসভায় প্রশাসক দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই পুরসভাগুলিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আর্জেন লামা নামে একজন ব্যক্তি এই তিনটি পুরসভায় নির্বাচনের জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। মামলাকারী আদালতে জানান, নির্বাচনের অভাবে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন, কারণ তাদের জন্য কাউন্সিলর নেই। প্রশাসকরা দায়িত্ব পালন করলেও, জনগণের সমস্যা সমাধানে তারা কার্যকর নয়। ভোট না হওয়ার ফলে পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজও থমকে গেছে, যার কারণে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
হাইকোর্ট এই মামলায় মন্তব্য করেছে যে, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসক বসিয়ে একজন পুরসভা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই, রাজ্য সরকারের উচিত সময়মতো নির্বাচন আয়োজন করা। মামলাকারীর অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১৪ মে থেকে এই পুরসভাগুলিতে ভোট হয়নি এবং ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখনও নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়নি।
মামলাকারী আরও উল্লেখ করেন, পাহাড়ের এলাকায় জিটিএ, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোট হয়েছে, কিন্তু পুরসভার ভোটে রাজ্য সরকারের অনীহা স্পষ্ট। আদালতের কাছে এই বিষয়টি হস্তক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রশ্ন ১: পাহাড়ের ৩ পুরসভায় ভোট কবে হবে?
উত্তর: হাইকোর্ট রাজ্যকে ৬ সপ্তাহের সময় দিয়েছে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবার জন্য। এর পরেই ভোটের তারিখ ঘোষণা হবে।
প্রশ্ন ২: হাইকোর্ট কেন রাজ্যকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে?
উত্তর: হাইকোর্ট মনে করেছে যে রাজ্যকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া দরকার যাতে তারা সঠিকভাবে ভোটের ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রশ্ন ৩: ভোটের প্রক্রিয়া কিভাবে চলবে?
উত্তর: রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের সব নিয়ম ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে এবং ভোটারদের জন্য প্রস্তুতি নেবে।
প্রশ্ন ৪: ভোট দেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে?
উত্তর: ভোট দেওয়ার জন্য আপনাকে ভারতের নাগরিক হতে হবে, ১৮ বছর অথবা তার বেশি বয়স হতে হবে এবং ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে।
প্রশ্ন ৫: যদি কেউ ভোট দিতে না পারে, তাহলে কি হবে?
উত্তর: যদি কেউ ভোট দিতে না পারে, তবে তারা পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তবে ভোট দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকা জরুরি।