সম্প্রতি দেগঙ্গার শফিকুল ইসলামের মৃত্যু একটি বাইক দুর্ঘটনার পর চিকিৎসার অভাবে ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবার জানায়, শফিকুলকে একাধিক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসা সেবা মেলেনি। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তিনি একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন, যেখানে শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়। যুবকের পরিবার ডাক্তারদের আন্দোলনকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শফিকুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাঁর স্ত্রীর চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতারা।
দেগঙ্গার যুবকের মৃত্যু, চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ
সম্প্রতি দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম একটি বাইক দুর্ঘটনায় জখম হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হয়। সেখানেই শফিকুলের মৃত্যু ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে তিনি চিকিৎসা পরিষেবা পাননি, যার ফলস্বরূপ এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।
শফিকুলের পরিবার জানায়, চারটি সরকারি হাসপাতালে ঘুরেও তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। প্রথমে বারাসত হাসপাতালে নেওয়া হয়, এরপর আরজিকর এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কোথাও সেবা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা হলেও ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে শফিকুলের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বলেন। একটি প্রতিনিধি দল শফিকুলের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে, এবং শফিকুলের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান।
এদিকে, এই মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক রহিমা বিবি, যিনি বলেন, চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে, শফিকুলের পরিবারে যে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে, তা অতি স্বাভাবিক। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও কার্যকরী হওয়া দরকার, যেন ভবিষ্যতে আর কারও মৃত্যুর কারণ না হয় চিকিৎসার অভাব।
প্রশ্ন ১: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আসলে কি ছিল?
উত্তর: জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কাজের শর্ত ও নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন।
প্রশ্ন ২: যুবকের মৃত্যু কিভাবে ঘটলো?
উত্তর: যুবকের মৃত্যু আন্দোলনের সময় চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকার কারণে ঘটে।
প্রশ্ন ৩: যুবকের স্ত্রীর চাকরি দেওয়ার কি পরিকল্পনা আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, যুবকের স্ত্রীর চাকরি দেওয়ার ভাবনা সরকার চিন্তা করছে।
প্রশ্ন ৪: এ ধরনের আন্দোলন কি আবার হবে?
উত্তর: যদি ডাক্তারদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আন্দোলন হতে পারে।
প্রশ্ন ৫: সরকার কি পদক্ষেপ নেবে?
উত্তর: সরকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।