রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি দার্জিলিং পালিয়েছেন কারণ তিনি চাকরি দিতে চান না, বরং ভাতা দেওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। শুভেন্দু দাবি করেন, মমতার সরকার চাকরি নিয়োগে উদাসীন এবং ভোটের রাজনীতিতে বেশি মনোযোগী। তিনি জানান, চাকরি দেওয়া হলে ভোটের সমস্যা হবে, তাই তিনি ফাঁকা পদগুলোর জন্য নিয়োগ করতে চান না। শুভেন্দুর এই মন্তব্যগুলো পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন আলো ফেলেছে এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ: মমতা দার্জিলিং পালিয়েছে?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছেন যে, “আপনাদের ভয়ে উনি দার্জিলিং পালিয়েছে।” তিনি দাবি করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের রাজনীতি করতে চাকরি দেওয়ার বদলে ভাতা দিচ্ছেন। শুভেন্দু এদিন চাকরিপ্রার্থীদের দাবি সমর্থন করে বলেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে একটাও চাকরি নিয়োগ হবে না।”
শুভেন্দু অধিকারী জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল না। তিনি সেখানে পালিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি যদি চাকরি দিই, তাহলে ২৫-৩০ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু আমি যদি ওই টাকাটা ছোট ছোট ভাগে বিতরণ করি, তাহলে আমার ভোটের সংখ্যা বাড়বে। এই হচ্ছে মমতার মানসিকতা।”
রাজনৈতিক এই উত্তাপের মধ্যে, চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলেছেন এবং তার প্রমাণ নেই।”
এদিকে, রাজ্যের চাকরির পরিস্থিতি নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
আরও পড়ুন – কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর বিসর্জনের আগেই দাউ দাউ করে আগুন ক্লাবে, মৃত ১
আরও পড়ুন – উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং, ডাকার পরেও এলেন না ১৪৪জন, চাকরি নিতেও অনীহা!
শুভেন্দু কেন বলেছেন যে উনি দার্জিলিং পালিয়েছেন?
উনি বলছেন যে কিছু মানুষের ভয়ে দার্জিলিং গেছেন।
শুভেন্দুর বক্তব্যের পেছনে কি কারণ আছে?
শুভেন্দুর মতে, কিছু রাজনৈতিক চাপের জন্য উনি সেখানে গেছেন।
এটা কি রাজনৈতিক সংকটের একটি অংশ?
হ্যাঁ, শুভেন্দুর বক্তব্য রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে যুক্ত।
দার্জিলিংয়ে উনার উদ্দেশ্য কি?
দার্জিলিংয়ে গিয়ে উনি নিরাপদে থাকতে চান এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চান।
এটা কি শুধু শুভেন্দুর একার সমস্যা?
না, এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতির অংশ, যা অনেকের প্রভাবিত করছে।