বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় হিন্দুদের উপর অশান্তির ঘটনা বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দুদের ওপর একাধিক আক্রমণের খবর আসছে, যা নিয়ে ভারত সরকার উদ্বিগ্ন। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মেহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, হিন্দুদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে না। তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং এবার তা বন্ধ করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। আগামী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ হতে পারে, যেখানে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর প্রেক্ষাপটে হিন্দুদের উপর হামলা ও নতুন বার্তা
বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় নানা অশান্তির খবর সামনে আসছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে পৌঁছানোর পর, সরকারের পক্ষ থেকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মেহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, হিন্দুদের রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু এবার তা পরিবর্তন হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, হিন্দুদের মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর এবং মন্দিরে হামলার মতো ঘটনা ঘটছে। দুর্গাপুজোর আগে কিছু এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আসিফ মেহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকা হিন্দুদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে দেওয়া হবে না।’ এই বার্তা ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হওয়ার ফলে অনেকেই এপার বাংলায় আসার চেষ্টা করছেন। যদিও সেই প্রচেষ্টা আটকানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সম্প্রতি কিছু মন্দির পরিদর্শন করে বলেছেন, ‘ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি আর হতে দেওয়া যাবে না।’
আগামী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে হিন্দুদের উপর হামলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইউনুসের বক্তব্য, ‘ধর্মীয় কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।’
প্রশ্ন ১: ‘হিন্দুদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে দেওয়া হবে না’ কথাটার মানে কী?
উত্তর: এর মানে হচ্ছে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়।
প্রশ্ন ২: ক্রীড়া উপদেষ্টা কেন এই বার্তা দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি চান যে ক্রীড়া নিজস্ব উদ্দেশ্যে থাকে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়।
প্রশ্ন ৩: এই বার্তা দেওয়ার পেছনে কি কোনো বিশেষ ঘটনা আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, কিছু রাজনৈতিক ঘটনা ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে, তাই এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কেমন হবে?
উত্তর: এটি ক্রীড়াঙ্গনে রাজনৈতিক চাপ কমাবে এবং খেলাধুলার মানে উন্নতি করবে।
প্রশ্ন ৫: সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে?
উত্তর: অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবেন, কারণ তারা চান ক্রীড়া রাজনৈতিক বিরোধ থেকে মুক্ত থাকুক।