সামাজিক অন্ধকারে দুর্গাপুজোর আলো: বিচারহীনতার বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ ও শোকের সুর

News Live

সামাজিক অন্ধকারে দুর্গাপুজোর আলো: বিচারহীনতার বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ ও শোকের সুর

দুর্গাপুজোর আনন্দের মাঝে আরজি করের নির্যাতিতার বিচার দাবিতে শহর উত্তাল। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন চলছে, কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারে এখন শোকের ছায়া। তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে পুজো বন্ধ, কারণ এবার তাঁর শেষ দুর্গাপুজো ছিল। নবমীর দিনে বিচার দাবি নিয়ে প্রতিবাদের অংশ হিসাবে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি পরিবারটির সঙ্গে সময় কাটাতে যাবেন। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের যন্ত্রণা লাখো মানুষের মধ্যে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়েছে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত পুজো চলবে, এমনটাই ঘোষণাও করেছেন তারা। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তাঁরা দমে যাননি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।



দুর্গাপুজোর মাঝে বিচারের দাবিতে জেগে উঠছে শহর

আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে গত দু-মাস ধরে উত্তাল রয়েছে শহর। দুর্গাপুজোর আনন্দের ভেতরেও বিচারের এই দাবি ফিকে হয়নি। ধর্মতলায় নির্যাতিতার সহকর্মী জুনিয়র চিকিৎসকরা আমরণ অনশনে রয়েছেন। পুজোর সময়, যখন সবাই উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন ওই তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে এক ভিন্ন পরিবেশ। তাঁর পরিবার এই বছরের দুর্গাপুজো উদযাপন করতে পারছে না।

নির্যাতিতার বাবা-মা জানিয়েছেন, এটি ছিল তাঁদের মেয়ের শেষ দুর্গাপুজো, কিন্তু সেই আনন্দের পরিবর্তে তাঁরা শোকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নবমীর দিন কিছু বিশিষ্ট সমাজসেবক তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সমর্থন জানানোর পরিকল্পনা করেছেন। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জানান, “মেয়েকে হারিয়েও কতটা শক্ত তাঁরা! তাঁদের সাহসই আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা।”

মেয়ের মৃত্যুর শোক বুকে চেপে রেখেও নির্যাতিতার বাবা-মা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। তাঁদের যন্ত্রণা লাখো মানুষের মধ্যে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়েছে। নবমী তিথি পেরিয়ে গেলেও, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ন্যায় বিচার না আসা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।

আনন্দের এই সময়ে, জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনশনকারী অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কিন্তু বাকিরা তাঁদের দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।

এই অবস্থায়, জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, রবিবার বাড়িতে বাড়িতে একবেলা অরন্ধন কর্মসূচি পালন করার জন্য। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

প্রশ্ন ১: আরজি করের মৃত চিকিৎসক কে?

উত্তর: আরজি করের মৃত চিকিৎসক হলেন ডাঃ আরজি কর, যিনি সম্প্রতি মারা গেছেন।

প্রশ্ন ২: দেবলীনা-উষসীরা কেন বাড়িতে গিয়েছিলেন?

উত্তর: দেবলীনা ও উষসীরা প্রতিবাদ জানাতে আরজি করের বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং তাদের সাহস জোগাতে চেয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৩: প্রতিবাদের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: প্রতিবাদের উদ্দেশ্য হল চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দাবি করা।

প্রশ্ন ৪: নবমীতে কি ঘটেছিল?

উত্তর: নবমীতে প্রতিবাদকারীরা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন এবং পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।

প্রশ্ন ৫: সাহস আনতে যাওয়ার মানে কী?

উত্তর: সাহস আনতে যাওয়ার মানে হলো, প্রতিবাদকারীরা একত্রিত হয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য করুন