মমতার সভা ভেস্তে গেল, ডাক্তারদের ধর্মঘটে রোগী মৃতের সংখ্যা বাড়ছে—রাজ্যে ন্যায় বিচারের খোঁজে কবে হবে সুরাহা?

News Live

মমতার সভা ভেস্তে গেল, ডাক্তারদের ধর্মঘটে রোগী মৃতের সংখ্যা বাড়ছে—রাজ্যে ন্যায় বিচারের খোঁজে কবে হবে সুরাহা?

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং হয়নি, কারণ তিনি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি। মমতা ডাক্তারদের ধর্মঘটের ফলে রাজ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি কোন্ননগরের বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে ডাক্তাররা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে আবেদন জানান। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাদের গাফিলতির কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ডাক্তাররা নিজেদের পক্ষ নিয়ে দাবি করেন, মৃত্যুর ঘটনা তাদের উদ্বেগ জন্মায়। পরিবারগুলো জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জন্য চিকিৎসা না পেয়ে তাদের প্রিয়জনদের হারানোর অভিযোগ করছেন।



জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘট: মমতার উদ্বেগ ও চিকিৎসা পরিষেবার সংকট

শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং হল না। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রশ্নে ভেস্তে গেল মিটিং। লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি নন মমতা। তবে এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বার বারই উল্লেখ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের জেরে ঠিক কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে রাজ্যে।

কোন্ননগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্যের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মমতা বলেন, ছেলেটার ২টো পা দিয়ে রক্তের বন্যা, কেউ মায়া করেননি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও চাই তিলোত্তমার বিচার পাক। কিন্তু গত একমাসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ লক্ষের বেশি পরিষেবা পাননি। ২৫ হাজার মানুষের হার্ট অপারেশন আটকে। সেই সঙ্গেই কোন্ননগরের বিক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

মমতা জানান, ছেলেটার ২টো পা দিয়ে রক্তের বন্যা বইছিল। কিন্তু কেউ মায়া করে এগিয়ে আসেননি। জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন মমতা। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা স্ট্রাইক করছেন তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়াটাই উচিত নয়।

কল্যাণ বলেন, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য মৃত্যু হয়েছে। ক্লিয়ার কাট। শুধু বিক্রম নয়, আরও মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাররা কেন অমানবিক? আমরা চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। তেমনি এই ক্ষেত্রেও (রোগীর পরিবার) বিচার পাক।

তবে ডাক্তারদের দাবি, পুরো মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে। প্রতিটি মৃত্যু আমাদের উদ্বেলিত করে। কাউকে বাঁচাতে না পারলে আমাদের মন খারাপ হয়। কোনও জুনিয়র চিকিৎসকের উপর যদি কোনও দমন পীড়ন করা হয় তবে রাজ্য জুড়ে আমরা কর্মবিরতিতে যাব।

এদিকে সম্প্রতি একাধিকজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। আর তার পেছনেও জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। রিষড়ার একটি পরিবার দাবি করেছিলেন, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন রাজীব দে। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বেগের মাঝে, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের প্রভাব রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপদ ডেকে আনছে। এই সংকটের সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সকলেই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলেছেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রোগীর মৃত্যুর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের দায়ী করা হয়েছে, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

রক্তের বন্যা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

‘২ পা দিয়ে রক্তের বন্যা’ বলতে রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হওয়া বোঝানো হয়েছে, যেখানে অনেক রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

দায়িত্ব কার উপর নিক্ষিপ্ত হয়েছে?

মমতা বলেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর দায়িত্ব নিক্ষিপ্ত হয়েছে, এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন?

মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশিত হয়েছে, কারণ অনেকেই মনে করেন যে রোগীর মৃত্যুর জন্য অন্যদের দায়ী করা ঠিক নয়।

এই পরিস্থিতির সমাধান কি হতে পারে?

এই পরিস্থিতির সমাধানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ ও রোগী যত্নের মান বাড়ানো প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন