সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণ: বামের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় শূন্যতা, কি হবে বাংলার ভবিষ্যৎ?

News Live

সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণ: বামের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় শূন্যতা, কি হবে বাংলার ভবিষ্যৎ?

সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ৭২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বাংলার রাজনীতিতে তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাহুল গান্ধী তার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন, বলছেন যে ইয়েচুরি তার বন্ধু ছিলেন এবং তাদের আলোচনা খুব মিস করবেন। ইয়েচুরি ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং বাংলার নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল গভীর। ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে ২৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। তার প্রয়াণে বাম রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা। ইয়েচুরি ভারতীয় রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি সর্বদা চেষ্টা করেছেন।



সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণ: বাম রাজনীতির এক অপূরণীয় ক্ষতি

৭২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। দীর্ঘদিন ধরে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, “সীতারাম ইয়েচুরি আমার বন্ধু ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হত, সেটা খুব মিস করব।”

সীতারাম ইয়েচুরির জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে বাংলার রাজনীতির সম্পর্ক ছিল বিশেষ। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। বাংলার ভোট মানেই ছিল ইয়েচুরির নাম। বাংলা ছিল তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি।

১৯৫২ সালের ১২ অগস্ট চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন ইয়েচুরি। আসল বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে, কিন্তু দিল্লিতে পড়াশোনা করার পর বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর দারুণ আকর্ষণ ছিল।

২৫ দিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণের সাথে লড়াই করে অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, “জাতীয় রাজনীতিতে একটি বড় ক্ষতি হয়ে গেল।”

বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেন, ইয়েচুরির মৃত্যু বাংলার বাম রাজনীতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি বারবার বাংলায় এসে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সমর্থন করেছেন।

গত ৮ অগস্ট প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ইয়েচুরি তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং শেষযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি।

১৯৯২ সাল থেকে তিনি সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন এবং ২০১৫ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সীতারাম ইয়েচুরির অবদান ও প্রয়াণে বাংলার বাম রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হল। তিনি ছিলেন লড়াকু এবং তাত্ত্বিক বাম নেতা, যিনি দেশের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সন্ধান করেছিলেন।

১. সীতারাম ইয়েচুরি কে?

সীতারাম ইয়েচুরি হল ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএম) একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং রাজনীতিবিদ।

২. তিনি কেন রাজ্যসভা থেকে চলে গেলেন?

তিনি রাজ্যসভা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা বঙ্গ সিপিএমে একটি শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।

৩. ইয়েচুরির রাজনৈতিক অবদান কী?

ইয়েচুরি বহু বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সক্রিয়, এবং তিনি বামপন্থী আন্দোলনের একজন মুখ্য নেতা।

৪. বঙ্গ সিপিএমের বর্তমান অবস্থান কী?

বঙ্গ সিপিএম বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, কারণ ইয়েচুরির চলে যাওয়ার ফলে নেতৃত্বে শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

৫. ইয়েচুরির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?

ইয়েচুরি নতুন রাজনৈতিক ভূমিকা নিতে পারেন বা দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে অন্যভাবে অবদান রাখতে পারেন, তবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলমান।

মন্তব্য করুন