আসানসোলের বাতাসের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে, বর্তমানে এটি দেশের ২০তম স্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক তৈরি করা তালিকায় আসানসোল কলকাতা ও হাওড়াকে পিছনে ফেলে সামনে এসেছে। শহরের বায়ু দূষণ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেমন জল কামান ব্যবহার, ড্রোনের মাধ্যমে দূষিত এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং রাস্তা পরিষ্কার করা। ২০২৩ সালে আসানসোলের স্কোর ছিল ১৩৫.৭, যা ২০২৪ সালে বেড়ে ১৬৯.৫ হয়েছে। শহরের উন্নতি সত্যিই প্রশংসনীয়, কারণ এটি একটি শিল্পশহর, যেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং। অন্যান্য শহরের মধ্যে সুরাট, জবলপুর, ও আগ্রা শীর্ষে রয়েছে।
আসানসোলের বাতাসের মানের উন্নতি: নতুন র্যাঙ্কিংয়ে ২০তম স্থান
বর্তমানে বাতাসের মান এবং দূষণের তথ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। কারণ, বাতাসের মান খারাপ হলে স্বাস্থ্যেও প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বায়ু এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক প্রকাশ করেছে একটি তালিকা, যেখানে দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে আসানসোল ১৫ ধাপ উন্নতি করে ২০তম স্থানে উঠে এসেছে। কলকাতা এবং হাওড়াকে পিছনে ফেলে শিল্প শহর আসানসোল এই অবস্থান অর্জন করেছে। এটি ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৪৭টি শহরের মধ্যে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আসানসোলের বাতাসের মান খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ হল কলকারখানার দূষণ। তবে, ২০২৩ সালে আসানসোল দূষিত শহরের তালিকায় ৩৫তম স্থানে ছিল, এখন ২০তম স্থানে উঠে এসেছে। আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাতাসের গুণমান উন্নত করতে জল কামান ব্যবহার করা হয়েছে, ড্রোন দিয়ে দূষিত এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
এই উন্নতির ফলে আসানসোলের বাতাসের মানের স্কোর ২০২২ সালে ৯৫ পয়েন্ট থেকে ২০২৪ সালে ১৬৯.৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি, দুর্গাপুরের অবস্থানও পিছিয়ে গেছে, যেখানে এর স্কোর ২০২৩ সালে ১৬১.৭ থেকে কমে ১৪১.৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
আসানসোলের এই সাফল্য অন্য শহরের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পরিবেশের মান উন্নত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ‘ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’, বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি
বাতাসের মান মানে কী?
বাতাসের মান মানে হল বাতাসে বিভিন্ন দূষণকারী পদার্থের পরিমাণ। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নির্দেশ করে।
আসানসোল কিভাবে বাতাসের মানে এগিয়ে গেল?
আসানসোলের বাতাসের মান উন্নত হয়েছে কারণ সেখানে শিল্পায়ন কম, এবং গাছপালা বেশি। ফলে পরিবেশ একটু পরিষ্কার আছে।
কলকাতা-হাওড়া কেন পিছিয়ে পড়েছে?
কলকাতা-হাওড়ায় শিল্পের সংখ্যা বেশি এবং যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাতাসে দূষণ বাড়াচ্ছে।
বাতাসের মান মাপার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
বাতাসের মান মাপার জন্য বিভিন্ন স্থানে মনিটর বসানো হয়, যা বাতাসের মধ্যে দূষণকারী পদার্থ মাপতে সাহায্য করে।
বাতাসের মান উন্নত করতে আমরা কী করতে পারি?
বাতাসের মান উন্নত করতে গাছ লাগানো, গাড়ির ব্যবহার কমানো এবং শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।