আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছে, যার ফলে ২৪ জন রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এদিকে, এক মহিলা চিকিৎসককে আইসিইউয়ের সামনে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে, কিন্তু এখনও পুলিশ কিছু করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষরা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। রাজ্যে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান উঠেছে, আর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
কলকাতায় চিকিৎসকের উপর হামলা: উত্তাল পরিস্থিতি
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে একটি তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনায় পুরো বাংলা উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ, এবং জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, এই আন্দোলনের ফলে ২৪ জন রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এর মধ্যেই আবার এক মহিলা চিকিৎসককে ‘যৌন হেনস্তার’ হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ওই হাসপাতালের রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আইসিইউ’র সামনে হুমকি দেওয়া মহিলা চিকিৎসককে জানানো হয়েছে, ‘আরজি করের মতো এখানে ঘটনা ঘটানো হবে।’ এই ঘটনায় এখনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি, যা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে গেছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষই হবে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। তবে এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে ইমার্জেন্সি বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে পুরো রাজ্যে আলোচনা চলছে। জনগণের মধ্যে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোটা সমাজ এই ঘটনার জন্য বিচারের দাবি জানাচ্ছে, কারণ এই ধরনের হামলা নজিরবিহীন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অবশেষে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
প্রশ্ন ১: ‘ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’ মানে কি?
উত্তর: ‘ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’ মানে হলো ‘এটা একটি অভিযোগ হিসেবে গৃহীত হবে’।
প্রশ্ন ২: মহিলা চিকিৎসককে কেন হুমকি দেওয়া হলো?
উত্তর: মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার কারণ হতে পারে অসন্তোষ, চিকিৎসার ভুল বা অন্য কোনো কারণে।
প্রশ্ন ৩: এই পরিস্থিতিতে আমি কী করতে পারি?
উত্তর: আপনি এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে?
উত্তর: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধারণত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এবং ঘটনার তদন্ত করে।
প্রশ্ন ৫: আইন অনুযায়ী হুমকি দেওয়ার শাস্তি কী?
উত্তর: আইন অনুযায়ী হুমকি দেওয়া একটি অপরাধ, এবং এর জন্য শাস্তি হতে পারে জরিমানা বা কারাদণ্ড।