জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছেই। আজ মুখ্যসচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে ডাক্তারদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে, তবে বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। ডাক্তাররা ২৬ জন প্রতিনিধির দাবি করলেও, সরকার ১৫ জনের সীমাবদ্ধতা রেখেছে। আন্দোলনরত ডাক্তাররা এখন গণবৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন। তাঁদের দাবি হলো, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। আন্দোলনটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন ডাক্তাররা।
চিকিৎসকদের আন্দোলন: বৈঠকে অংশগ্রহণ ও দাবি নিয়ে নতুন পরিস্থিতি
রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়েছে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পড়েছে আন্দোলনকারীদের। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তবে, চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে। নবান্ন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বৈঠকটি ভিডিও রেকর্ড করা হবে। যদিও ডাক্তারদের ২৬ জন প্রতিনিধির দাবি পূরণ করা হচ্ছে না, এবং বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা গণবৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
গতকাল, নবান্ন থেকে মুখ্যসচিবের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে, ডাক্তাররা বৈঠকে বসার জন্য চারটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বৈঠকে অন্তত ৩০ জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণ, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার, আরজি করের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা এবং মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে রাজনীতির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, “আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সদর্থক আলোচনা চাই।”
চিকিৎসকদের দাবির মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ভয়াবহতার অবসান। তারা গণতান্ত্রিকভাবে চিকিৎসা ছাত্র ও ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন।
প্রশ্ন ১: মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারদের চিঠি কেন পাঠালেন?
উত্তর: ডাক্তারদের কিছু দাবি ও শর্ত মানা হয়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন।
প্রশ্ন ২: ডাক্তারদের দাবিগুলি কি ছিল?
উত্তর: ডাক্তারদের মূল দাবিগুলি ছিল কর্মস্থলের নিরাপত্তা, বেতন বৃদ্ধি এবং ভালো কাজের পরিবেশ।
প্রশ্ন ৩: ডাক্তাররা কি আবার আন্দোলন শুরু করবে?
উত্তর: ডাক্তাররা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করছে, কিন্তু এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
প্রশ্ন ৪: সরকারের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?
উত্তর: সরকার ডাক্তারদের কিছু দাবি শুনেছে, কিন্তু সব শর্ত মানতে পারেনি।
প্রশ্ন ৫: ডাক্তারদের এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরোনো সম্ভব?
উত্তর: ডাক্তারদের সাথে সরকারের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে এবং সমঝোতা করতে হবে।