রেলের গাফিলতিতে প্রৌঢ়ের মৃত্যু: যাত্রীরা প্রতিবাদ, কর্তৃপক্ষের অস্বীকারে চরম অস্থিরতা!

News Live

রেলের গাফিলতিতে প্রৌঢ়ের মৃত্যু: যাত্রীরা প্রতিবাদ, কর্তৃপক্ষের অস্বীকারে চরম অস্থিরতা!

রেলের গাফিলতির জন্য এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ অবস্থায় রেল লাইনে পড়ে থাকা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় (৫৫) কে নির্দিষ্ট স্টেশনে নামানোর পরিবর্তে অন্য স্টেশনে নামানো হয়, ফলে হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয়। যাত্রীরা দাবি করেছেন, তারা গার্ডের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং প্রৌঢ়কে ডোমজুড়ে নামানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেন বড়গাছিয়ায় নামানোর বদলে আমতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান, তবে রেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।



রেলের গাফিলতিতে প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ

হাওড়ার বড়গাছিয়া স্টেশনে রেলের গাফিলতির কারণে এক ৫৫ বছর বয়সী প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, অসুস্থ অবস্থায় রেল লাইনে পড়ে থাকা প্রৌঢ় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে সঠিক স্টেশনে নামানো হয়নি। যদি তাঁকে নির্দিষ্ট স্টেশনে নামানো হতো, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু, তাঁকে অন্য স্টেশনে নামানোর ফলে হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তবে রেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। যাত্রীরা জানান, প্রৌঢ়কে উদ্ধার করার পর তাঁকে স্টেশনে নিয়ে গিয়ে জল দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি এখনও বেঁচে ছিলেন। কিন্তু, রেলের গার্ডের সঙ্গে কথা বলার পরও প্রৌঢ়কে কেন সঠিক স্টেশনে নামানো হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গার্ড জানিয়েছিলেন, তাঁকে ডোমজুড়ে নামানো হবে, কিন্তু পরে তাঁকে আমতা স্টেশনে নামানো হয়। এতে অনেকটাই সময় নষ্ট হয়ে যায়।

বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং প্রতি দিন বড়গাছিয়া থেকে লোকাল ট্রেনে করে ডাঁশি স্টেশনে যাতায়াত করতেন। রেলের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটার ফলে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রেলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে ট্রেনে তোলার আগেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছিল।

রেলওয়ে গাফিলতির কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে?

রেলওয়ে গাফিলতির কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে সমস্যা হতে পারে, যেমন সঠিক স্টেশনে নামানো না হওয়া, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

প্রৌঢ়ের মৃত্যু হলে কিভাবে অভিযোগ করা যাবে?

যদি কোনো প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘটে, তাহলে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে এবং স্থানীয় পুলিশকে জানাতে হবে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা কি আইনত ঠিক?

হ্যাঁ, বিক্ষোভে অংশগ্রহণ আইনত সঠিক, তবে এটি শান্তিপূর্ণভাবে করা উচিত এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।

রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া কি?

রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হলে প্রথমে রেল কর্তৃপক্ষের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের নির্ধারিত ফরমে অভিযোগ জমা দিতে হবে।

এই ধরনের ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব কি?

রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গাফিলতি হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।

মন্তব্য করুন