বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে সফরে গেছেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জেতানোর জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তারা জানান, কমিশন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হয়নি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। নির্বাচনের প্রচারের সময় শেষ হওয়ার আগেই তৃণমূল নেতারা কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বিশেষ করে সাকেত গোখল বলেন, কমিশন বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অগ্রহণযোগ্য।
উপনির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর
বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামীকাল। এর প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গেছেন। সফরের আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জেতানোর জন্য আবেদন করেছেন। তবে এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের উদ্বেগ রয়েছে। তারা অভিযোগ করছেন, নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপির ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে আচরণ করছে না। তারা গতকাল কমিশনে নালিশ জানাতে গিয়েও কোনও কর্তার সঙ্গে দেখা পাননি। আজ, সোমবার তারা কমিশনের ফুলবেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। তবে তৃণমূল নেতারা এই সময়সীমা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রচারের শেষ মুহূর্তে কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা অর্থহীন। তাদের এই ক্ষোভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সাকেত গোখলে। গতকাল সুকান্ত মজুমদারের কার্যকলাপ নিয়েও তৃণমূল নেতারা প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ কমিশন সুকান্ত মজুমদারকে নোটিশও প্রেরণ করেছে।
এদিকে, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা এবং জয়প্রকাশ মজুমদার নির্বাচন কমিশনের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য সেন্সর করার দাবি জানিয়েছেন। সাকেত গোখলে জানিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস গত ৮ নভেম্বর কমিশনের কাছে দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে সময় চেয়েছিল, কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এ কারণে তারা দিল্লি গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ফিরে এসেছেন।
সাকেত গোখলে আরও দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না এবং বিজেপিকে ভোট দিতে ভয় দেখাচ্ছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘মোদী সরকারের একজন মন্ত্রী বাংলার পুলিশকে উর্দিতে চটির লোগো লাগাতে বলছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে যে, তাদের দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে কাজ করা নয়।’
প্রশ্ন ১: সাকেত গোখলে কি বললেন?
উত্তর: সাকেত গোখলে বলেছেন, এখন ঘুম ভাঙল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
প্রশ্ন ২: এটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: এটি বলা হয়েছে কারণ নির্বাচন কমিশন সময়মতো কার্যক্রম শুরু করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন ৩: এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট কি?
উত্তর: মন্তব্যটি নির্বাচনের প্রস্তুতি ও কমিশনের কার্যকারিতার উপর নজর দেওয়ার জন্য।
প্রশ্ন ৪: সাকেত গোখলে কে?
উত্তর: সাকেত গোখলে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সমাজসেবক।
প্রশ্ন ৫: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব কি?
উত্তর: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো নির্বাচন পরিচালনা ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।