কলকাতায় জুনিয়র চিকিৎসকরা গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে তারা তাদের প্রধান দাবিগুলি তুলে ধরেন। তাঁরা ‘জাস্টিস ফর অভয়া’ এবং স্বাস্থ্যসচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি করেছেন। এছাড়াও, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক উপস্থিতি নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ করেছেন। চিকিৎসকরা ৩০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আলোচনা করতে চান এবং সেই সভার লাইভ টেলিকাস্টের দাবি তুলেছেন। এই চিঠির মাধ্যমে তারা তাদের নির্দিষ্ট অভিযোগ এবং দাবি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতার জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
রাত তখনও গভীর। কলকাতা শহর ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বিনিদ্র রাত কাটাতে ব্যস্ত। ঠিক সেই সময় রাত তিনটা বেজে ৪৯ মিনিটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠান তারা।
চিঠিতে লেখা হয়, ‘রেসপেক্টেড ম্যাম,’
জুনিয়র চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন যে, ডেপুটি হেলথ মিনিস্টারের প্রেস মিট দেখে তারা জানতে পেরেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। তবে স্বাস্থ্যসচিবের কাছ থেকে প্রাপ্ত মেলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। তারা তাদের মূল দাবিগুলি তুলে ধরেছেন।
প্রথমত, ‘জাস্টিস ফর অভয়া’ – তারা চান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন সিবিআই এবং সুপ্রিম কোর্টের তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দোষীদের শাস্তি দেয়।
দ্বিতীয়ত, ডিএমই, ডিএইচএস এবং স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে, কারণ তাদের সইয়ের কারণে সেমিনার রুমের পাশের রুম ভাঙা হয়েছে।
তৃতীয়ত, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে এবং ডিসি নর্থের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
চতুর্থত, সমস্ত হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষত মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়েছে।
পঞ্চমত, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থ্রেট কালচারের অবসান ঘটাতে হবে এবং মেডিক্যাল পড়ুয়া ও ডাক্তারদের গণতান্ত্রিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে তাদের দাবিগুলি জানিয়ে দিয়েছেন এবং তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। অন্তত ৩০ জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে, কারণ একাধিক মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
গোটা রাজ্য এই মিটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে এবং তারা চান যে, প্রশাসন এই মিটিংয়ের লাইভ টেলিকাস্ট করুক।
এভাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন, যেখানে নির্দিষ্ট অভিযোগ ও দাবি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১: ডাক্তাররা কেন চিঠি লিখলেন?
উত্তর: ডাক্তাররা কিছু সমস্যার কথা জানাতে এবং তাদের নিরাপত্তা চাইতে চিঠি লিখেছেন।
প্রশ্ন ২: চিঠিতে কী বিশেষ দাবি করা হয়েছে?
উত্তর: চিঠিতে ডাক্তাররা নিরাপত্তার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছেন।
প্রশ্ন ৩: চিঠিটি কিভাবে জমা দেওয়া হলো?
উত্তর: ডাক্তাররা এই চিঠিটি ভোরের সময় মমতার কাছে পাঠিয়েছেন।
প্রশ্ন ৪: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করবেন এই চিঠির পর?
উত্তর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রশ্ন ৫: এই চিঠির কারণে কী পরিবর্তন আসবে?
উত্তর: আশা করা হচ্ছে, ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নেবে।