বাংলা জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন, ৩১ বছরের তরুণী ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। তাঁরা সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেছেন, যার মধ্যে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগও রয়েছে। ডাক্তারদের আন্দোলনে অর্থসাহায্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখা যাচ্ছে, কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা হয়নি। কিছু নেটিজেন সতর্ক করেছেন, ডাক্তাররা টাকা চাইছেন না। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া না দিলেও, জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন যে, আলোচনার আয়োজন হবে ওপেন ফোরামে, যেখানে ২৬টি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
বর্তমানে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন বাংলা জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী ডাক্তার হত্যার ও ধর্ষণের ঘটনায় তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ডাক্তারদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে, যার মধ্যে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগেরও দাবি রয়েছে। সোমবার সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সময়সীমা পার হলেও বুধবারও তাঁরা ধর্নায় অনড় রয়েছেন।
এদিকে, গত রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক্তারদের আন্দোলনে অর্থসাহায্যের জন্য পোস্ট দেখা যাচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়ার ডাক্তারদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে এরকম কোনো ঘোষণা করা হয়নি।
আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই
বন্যা কর এক পোস্টে লেখেন, ‘একটা জরুরী তথ্য— ডাক্তারদের আন্দোলনের জন্য যারা টাকা তুলছেন তারা দয়া করে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারপর ফান্ড রেজা করুন। কারণ আমরা জানি WDF-এর এই মুহূর্তে আর্থিক সাহায্যের দরকার নেই। এখন যা দরকার তা হলো পাশে থাকা।’
স্বস্তিকা নামে একজন ব্যবহারকারী সেই পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘চোখ খুলুন! ডাক্তাররা টাকা চাইছেন না। সতর্ক থাকুন এবং প্রতারণার শিকার হবেন না।’
একজন নেট-নাগরিক মন্তব্য করেছেন, ‘আরম্ভ হল। এখন যাই আন্দোলন হোক, টাকা ঝাড়া হবেই। সে পাড়া হোক বা শহর বা দেশ।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘উপার্জনের নতুন মাধ্যম।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘ডাক্তারবাবুদের বুঝতে হবে এই আন্দোলনটা গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে শুধু মাত্র তিলত্তমার বিচার পাওয়ার দাবিতে। সব মানুষ দলমত নির্বিশেষে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁদের আগামী পদক্ষেপ করা উচিত।’
মমতার সঙ্গে আলোচনা নিয়ে নতুন ঘোষণা
মঙ্গলবার মমতার ডাকে সাড়া না দিলেও, বুধবার জুনিয়র ডাক্তাররা পালটা ইমেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, মমতা বা প্রশাসনের সঙ্গে কোনো ক্লোজ ডোর বৈঠক হবে না। আলোচনা হবে ওপেন ফোরামে, যেখানে ২৬টি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন এবং সাধারণ মানুষ সরাসরি তা দেখার সুযোগ পাবে।
১. স্বাস্থ ভবন অভিযান কি?
স্বাস্থ ভবন অভিযান হলো একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প, যা মানুষের স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
২. আরজি কর-কাণ্ডে ডাক্তার আন্দোলন সম্পর্কে কি জানবেন?
এটি হলো একটি প্রতারণা, যেখানে কিছু মানুষ ডাক্তারদের নামে টাকা তোলার চেষ্টা করছে।
৩. সাবধান করার জন্য স্বস্তিকা কি বলেছে?
স্বস্তিকা বলেছে যে, মানুষকে এই ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
৪. আমি কিভাবে প্রতারণা চিহ্নিত করবো?
আপনি যদি কোনো ডাক্তার বা সংগঠনের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হয়, তবে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
৫. যদি আমি প্রতারণার শিকার হই, তখন কি করবো?
আপনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ করতে পারেন এবং বিষয়টি জানাতে পারেন।