বনগাঁর শিক্ষক উত্তম ভট্টাচার্য এক অভিনব পদ্ধতিতে ‘আরজি কর’ হত্যার বিচার চাইতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর ছেলের ৫ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা রক্তদান শিবিরে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ লেখা পোস্টার দেখা যায়। জন্মদিনের মেনু কার্ডেও বিচারের দাবির উল্লেখ রয়েছে। উত্তম বাবু জানান, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ছেলেকে ন্যায়ের গুরুত্ব বোঝাতে চান। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে ১০০ জন অতিথির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সবাই একসঙ্গে বিচার দাবি করেন। উত্তম বাবুর এই উদ্যোগে এলাকায় আনন্দের সাথে ন্যায়ের প্রতি দায়বদ্ধতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
বনগাঁর শিক্ষক উত্তম ভট্টাচার্যের অভিনব প্রতিবাদ
এক মাসের বেশি সময় হয়েছে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের। নৃশংসভাবে যে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছিল, তার বিচার এখনো মেলেনি। ‘বিচার চাই’ এই দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, আবার কেউ কেউ বাড়িতে আলো নিভিয়ে নিরব প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তবে এবার বনগাঁর শিক্ষক উত্তম ভট্টাচার্য অভিনব এক পদ্ধতিতে বিচার চাইলেন।
ছেলের ৫ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন উত্তম ভট্টাচার্য। শিবিরের প্রতিটি স্থানে দেখা গেল ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ লেখা পোস্টার। এমনকি ছেলের জন্মদিনের মেনু কার্ডেও বিচারের দাবি ছিল।
কলমবাগান কুন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম বাবুর ছেলে দেবাঙ্কনের জন্মদিন ধুমধাম করেই পালন করা হলো। আনন্দের মাঝেও বিচার পাওয়ার দাবি ভুলেননি উত্তম বাবু। মেনু কার্ডে একটি ছবিতে দেখা গেল, একটি মেয়ের মুখ, যার হাতে মোমবাতি এবং তালুতে লেখা ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।
এই পদক্ষেপ নিয়ে উত্তম বাবু বলেন, ‘দেবাঙ্কন এই বয়সে সবকিছু বুঝতে পারে। আধো আধো কথায় সে বলছে আরজি করের কথা। আমাদের এই পদক্ষেপ সারা জীবন মনে থাকবে।’
উত্তম বাবুর ভাই গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা আমাদের বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত। বাবা বলতেন, মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। আজ আমাদের সেই সুযোগ এসেছে।’
দেবাঙ্কনের মা সুপর্ণা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় আমরা খুবই শোকাহত। আনন্দের মুহূর্তেও আমাদের লক্ষ্য একটাই, সেটা বোঝানোর জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’ জন্মদিনের রক্তদান শিবিরে ১০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন এবং সবাই একসাথে বললেন, ‘We Want justice’।
প্রশ্ন ১: প্রতিবাদের বার্তা কি?
উত্তর: প্রতিবাদের বার্তা হলো স্বাস্থ্যসেবা, বিলের সমস্যা এবং জন্মদিনের মেনু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা।
প্রশ্ন ২: কেন জন্মদিনের মেনু নিয়ে প্রতিবাদ করা হচ্ছে?
উত্তর: জন্মদিনের মেনু নিয়ে প্রতিবাদ করা হচ্ছে কারণ অনেক পরিবার স্বাস্থ্যসেবা এবং বিলের কারণে আর্থিক চাপ অনুভব করছে।
প্রশ্ন ৩: বনগাঁর পরিবারের কী অভিযোগ আছে?
উত্তর: বনগাঁর পরিবারের অভিযোগ হলো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না এবং বিলের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
প্রশ্ন ৪: এই প্রতিবাদ কতদিন চলবে?
উত্তর: প্রতিবাদ চলবে যতদিন পর্যন্ত সরকারের কাছে তাদের দাবি পূরণ না হয়।
প্রশ্ন ৫: প্রতিবাদে যোগ দিতে কি করতে হবে?
উত্তর: প্রতিবাদে যোগ দিতে চাইলে স্থানীয় সমাবেশে এসে আপনার মতামত প্রকাশ করতে পারেন।