রাজ্য সরকারের পাঠানো ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, মেলের ভাষা ও সম্বোধন পদ্ধতি অশ্রদ্ধার। তাঁরা দাবি করছেন, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ইমেল থেকে পাঠানো বার্তা গ্রহণযোগ্য নয়, এবং তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সরাসরি যোগাযোগ চান। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসচিবের মেলে প্রতিনিধি সংখ্যা ১০-এ সীমাবদ্ধ রাখাও অসম্মানজনক। তাই তাঁরা মঙ্গলবার নবান্নে যেতে অস্বীকার করেছেন, তবে ভবিষ্যতে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাজ্যের পাঠানো মেল নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা দাবি করেছেন, মেলের ভাষা ‘অপমানজনক’ এবং এই কারণেই তাঁরা নবান্নে যেতে অস্বীকার করেছেন। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গাল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর একজন প্রতিনিধি বলেন, “ইমেলে লেখা হয়েছে, রেসপেক্টেড স্যার। কিন্তু আমাদের মধ্যে ম্যাডামরাও আছেন। তাই ভবিষ্যতে স্যার এবং ম্যাডাম দুজনকেই সম্বোধন করা হোক।”
স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগের দাবি
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রাজ্যের মেলের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া একমাত্র কারণ নয়। তাঁরা দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ইমেল থেকেই তাঁদের বার্তা পাঠানো হয়েছে, যার জন্য তাঁরা আন্দোলন করছেন।
‘নীচুতলার’ মেল পেলে যাবেন না
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সচিবের ইমেল থেকে বার্তা আসা অত্যন্ত অসম্মানজনক। তাঁরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্নের তরফ থেকে যদি মেল করা হয়, তবেই তাঁরা আলোচনা করতে প্রস্তুত।
‘অপমানজনক মেল’
অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের মতে, স্বাস্থ্য সচিবের মেলে প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ১০-এ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা তাঁদের জন্য অপমানজনক। তাঁরা বলেছেন, যে মেল পাঠানো হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের সদর্থক বার্তা পরিষ্কার নয়। তবে তাঁরা ভবিষ্যতে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
প্রশ্ন ১: জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভের কারণ কী?
উত্তর: জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারের পাঠানো ইমেইলে শুধু ‘রেসপেক্টেড স্যার’ লেখা নিয়ে অসন্তুষ্ট, কারণ সেখানে ‘ম্যাডাম’ উল্লেখ করা হয়নি।
প্রশ্ন ২: এই ইমেইলে কি আরো কিছু সমস্যা আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, ডাক্তাররা মনে করছেন যে সরকার তাদের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না এবং এটি তাদের পেশাগত মর্যাদা কমাচ্ছে।
প্রশ্ন ৩: জুনিয়র ডাক্তাররা কি পদক্ষেপ নিতে পারেন?
উত্তর: জুনিয়র ডাক্তাররা একত্রিত হয়ে তাদের দাবি জানাতে পারেন এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: সরকার কি তাদের এই অসন্তোষ শুনবে?
উত্তর: আশা করা যায়, যদি ডাক্তাররা তাদের দাবিগুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন করে, তবে সরকার তাদের কথা শুনবে।
প্রশ্ন ৫: এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছে?
উত্তর: এই পরিস্থিতি ডাক্তারদের মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, কারণ তারা নিজের পেশায় অসম্মানিত বোধ করছেন।