বৃন্দা তুলসীয়ান, ভারতের তিনটি প্রধান ঐতিহ্যবাহী স্কুলের প্রধান শমী দাস, ৮৯ বছর বয়সে হায়দরাবাদে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর শিক্ষা জীবনে অসাধারণ অবদানকে স্মরণ করে সম্প্রতি “দ্য ম্যান হু সো টুমরো” নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। দাসের শিক্ষা দর্শন ছিল পরীক্ষার ফলাফলের বাইরে, তিনি শিক্ষার্থীদের আত্ম-আবিষ্কার ও সমালোচনামূলক চিন্তার গুরুত্বকে সমর্থন করতেন। গর্ডনস্টন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে, তিনি মায়ো কলেজ, লরেন্স স্কুল এবং দুন স্কুলে প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্ভাবনা তৈরি করেছিল এবং তিনি তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতেন। দাসের উত্তরাধিকার হল তাঁর দ্বারা গঠিত স্কুলগুলো এবং অসংখ্য ছাত্রদের জীবন যা তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে শমী দাসের অবদান স্মরণ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শমী দাস, যিনি ভারতের তিনটি প্রধান ঐতিহ্যবাহী স্কুলের প্রধান ছিলেন, তাঁর ৮৯ তম জন্মদিনের ১০ দিন পরে হায়দরাবাদে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু শিক্ষাক্ষেত্রে একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
শমী দাসের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি বই “দ্য ম্যান হু সো টুমরো”। তিনি গর্ডনস্টন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত মায়ো কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরবর্তীতে লরেন্স স্কুল ও দুন স্কুলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায় দাসের শিক্ষার ধারণাকে প্রশংসা করে বলেন, তিনি কখনও বিশ্বাস করেননি যে, শিক্ষা মানে শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো করা। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল শিক্ষাকে গভীরভাবে বোঝার।
দাসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বিএস দানোহা বলেছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন এবং তাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখানোর জন্য হিমাচলের সাংলা উপত্যকায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
দ্য দুন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র শিবরাজ পারশাদ বলেন, দাস তাঁর বিরুদ্ধে উৎপীড়নের ঘটনায় সমর্থন করেছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জগুলি উপলব্ধি করতেন। তাঁর শিক্ষাদানের পদ্ধতি ছিল অদ্বিতীয়।
শমী দাসের উত্তরাধিকারটি আজও বেঁচে আছে। তিনি যে অনেক স্কুল গঠনে সহায়তা করেছেন এবং অসংখ্য জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “তিনি শিক্ষার্থীদের ভারতীয় নাগরিক হতে শিখিয়েছিলেন এবং আগামীকালের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।”
শমী দাস কে ছিলেন?
শমী দাস ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং দুন স্কুলের প্রধান।
শমী দাসের প্রথম চাকরি কোথায় ছিল?
শমী দাসের প্রথম চাকরি ছিল কলকাতায়।
শমী দাস কবে প্রয়াত হয়েছেন?
শমী দাসের প্রয়াণের সঠিক তারিখ জানানো হয়নি।
শমী দাসের অবদান কী ছিল?
শমী দাস শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন এবং অনেক শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করেছেন।
শমী দাসের মৃত্যুতে কী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে?
শমী দাসের মৃত্যুতে শিক্ষাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং অনেকেই তাঁকে স্মরণ করছেন।