রাজনীতির মুখোশে শোকের ছায়া: ধর্ষণের প্রতিবাদে কৃষ্ণ কল্যাণীর পদত্যাগ, ‘ন্যায় চাই’ স্লোগানে উত্তাল কলকাতা

News Live

রাজনীতির মুখোশে শোকের ছায়া: ধর্ষণের প্রতিবাদে কৃষ্ণ কল্যাণীর পদত্যাগ, ‘ন্যায় চাই’ স্লোগানে উত্তাল কলকাতা

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করার ঘটনায় রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার পর ‘আমরা ন্যায় চাই’ স্লোগান উঠেছে এবং বিভিন্ন মিছিল চলছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি বিধানসভায় এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, যা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন, কমিটির বিষয়টি তার পছন্দ নয়, তাই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ১৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে, যেখানে সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে।



আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন: কলকাতার রাজনীতিতে নতুন টানাপড়েন

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে চলছে নানা মিছিল ও ধরনা, যেখানে উঠে আসছে স্লোগান– “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”। এরই মধ্যে, বিধানসভার পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। কিছুদিন আগে তিনি বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এই পদত্যাগ তৃণমূলের পরিষদীয় দলের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না, যা রাজ্য–রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

আরজি কর হাসপাতাল বিষয়ক মামলার শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এভাবে পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সদ্য জহর সরকার রাজ্যসভার পদ ও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এরপরই কৃষ্ণ কল্যাণীর পদত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসে। কৃষ্ণ একসময় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, পরে আবার তৃণমূলের সঙ্গে ফিরে এসে বিধায়ক হয়েছেন।

এদিকে, কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, “ওই কমিটির বিষয়টি আমার পছন্দ নয়। তাই আমি পদ থেকে সরে গেছি।” এই ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে। কলকাতার ধর্মতলায় বিজেপির ধরনা চলছে, যা ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। পরদিন বিশ্বকর্মা পুজো এবং সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কৃষ্ণ কল্যাণী লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে ৪৬ হাজার ভোটে হেরেছিলেন, কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে। এবার পদত্যাগ করে তিনি অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছেন।

কৃষ্ণ কল্যাণী কেন ইস্তফা দিলেন?

তিনি ব্যক্তিগত কারণে এবং কিছু রাজনৈতিক মতবিরোধের জন্য পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

এটা কি রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত?

হ্যাঁ, কৃষ্ণ কল্যাণীর ইস্তফা কিছু রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা দলের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

এখন পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান কে হবেন?

দল থেকে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে এখনো কোনো নাম ঘোষণা করা হয়নি।

এখন কৃষ্ণ কল্যাণীর পরিকল্পনা কি?

তিনি এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারেন এবং ভবিষ্যতে নতুন পদে কাজ করার সুযোগ খুঁজছেন।

এই ইস্তফা দলের উপর কি প্রভাব ফেলবে?

এটি দলের ভিতরে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে এবং অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।

মন্তব্য করুন