মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা দায়িত্ব নেবেন। এটি চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আগে শাসক দলের প্রতিনিধিরা সেখানে ছিলেন, যা বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়েছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমিতিতে অধ্যক্ষ, একজন নার্স, চিকিৎসক এবং স্থানীয় বিধায়ক থাকবেন। এর মাধ্যমে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর উত্থাপিত বিতর্কের অবসান ঘটানো হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন এবং বৃহস্পতিবার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা: রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ
বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আসছে পরিবর্তন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, এখন থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাসপাতালের অধ্যক্ষরা। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
কিছুদিন আগে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া একটি নারীর হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে কোনও বিতর্কের অবসান ঘটাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হাসপাতালের অধ্যক্ষ নিজেই হবেন। এছাড়া সমিতিতে একজন নার্স, স্থানীয় থানার আইসি, একজন সিনিয়র ডাক্তার, একজন জুনিয়র ডাক্তার এবং স্থানীয় বিধায়ক থাকবেন।”
বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতা মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ সুদীপ্ত রায়, এবং অন্যান্য মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যানরা রাজনৈতিক নেতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর এই পরিবর্তন হবে এবং চিকিৎসকদের সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, জুনিয়র ডাক্তারদের আজ বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন এবং আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এবং শান্তনু সেন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, যা চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
রোগী কল্যাণ সমিতি কি?
রোগী কল্যাণ সমিতি হলো একটি সংস্থা যা রোগীদের সেবা এবং চিকিৎসার মান উন্নত করতে কাজ করে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন রাজনৈতিক নেতাদের সরিয়ে দিলেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোগী কল্যাণ সমিতিকে চিকিৎসকদের মাধ্যমে পরিচালনা করতে চান, যাতে চিকিৎসা সেবা আরও কার্যকর এবং সঠিকভাবে প্রদেয় হয়।
এতে রোগীদের কি উপকার হবে?
এতে রোগীরা চিকিৎসকদের থেকে সরাসরি সেবা পাবেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত পরিবেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।
চিকিৎসকরা কিভাবে সমিতিতে কাজ করবেন?
চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্য সমস্যা নির্ধারণ করবেন এবং চিকিৎসা প্রদানের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এখন কি পরিবর্তন আসবে রোগী কল্যাণ সমিতিতে?
হ্যাঁ, এখন চিকিৎসকদের নেতৃত্বে কাজ হবে, তাই সেবা প্রদান আরো উন্নত ও সম্পূর্ণ হবে।