রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন এখন সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানান, সিভিক ভলান্টিয়াররা হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ইচ্ছা করে ঢুকতে পারবেন না। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন যে, সিভিক ভলান্টিয়াররা তাদের পরিচয়পত্র ছাড়াই এমারজেন্সি ওয়ার্ডে প্রবেশ করছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং CISFকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের একটি সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টেও শোনা গেল। সোমবারের শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানালেন, সিভিক ভলান্টিয়াররা ইচ্ছা করলেই হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে পারেন না।
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী আদালতে জানালেন, ‘সিআরপিএফ পরিচয়পত্র না দেখেই সবাইকে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররাও রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষের বেশি সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। অভিযুক্তও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাদের কোনও পরিচয়পত্র নেই।’
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কেউ যেন এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়তে না পারে। তাহলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে?’ তিনি CISF-কে নির্দেশ দেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সলিসিটর জেনারেল প্রধান বিচারপতিকে আশ্বস্ত করেন যে, চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ করছে CISF। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের একমাস পর এখনও ধৃত সঞ্জয়ই মূল অভিযুক্ত! কীভাবে এগিয়েছে CBI?
আরও পড়ুন: ‘টাকার কথা বলিনি’ মিথ্যেবাদী মুখ্য়মন্ত্রী, মমতার ভিডিয়োতে প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন: রায় নয়, সঞ্জয় রাই; RG করের অভিযুক্ত আদতে বিহারের লোক, দাবি মমতার, ‘হাওড়ারও…’
প্রশ্ন ১: সিভিক ভলান্টিয়াররা সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে পারবেন কেন?
উত্তর: সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসপাতালের ভিতরে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়ানোর অনুমতি নেই, কারণ হাসপাতালের নিরাপত্তা ও রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা জরুরি।
প্রশ্ন ২: এই নিয়মের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: এই নিয়মের উদ্দেশ্য হলো হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রশ্ন ৩: সিভিক ভলান্টিয়াররা কি হাসপাতালে কাজ করতে পারবেন?
উত্তর: হ্যাঁ, সিভিক ভলান্টিয়াররা নির্ধারিত কাজের জন্য হাসপাতালে আসতে পারেন, তবে তাদের নির্ধারিত স্থানে থাকতে হবে।
প্রশ্ন ৪: যদি তারা জরুরি প্রয়োজন হয়, তাহলে কি করবেন?
উত্তর: জরুরি প্রয়োজন হলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হবে এবং নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
প্রশ্ন ৫: এই নিয়মের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে পারবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করেন যে নিয়মটি অযৌক্তিক, তারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।